সিবিএন ডেস্ক
আমেরিকা প্রবাসী বিরোধী নেতা ফতেউল্লাহ গুলেনসহ ১৩০ জন প্রবাসীর নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। ৫ জুন থেকে পরবর্তী তিনমাসের মধ্যে এসব নাগরিককে তুরস্কে ফিরে আসার চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ফিরে না আসলে তারা তুরস্কের নাগরিকত্ব হারাবেন।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এ খবর দিয়েছে। ওই ১৩০ ব্যক্তির মধ্যে কুর্দিপন্থি পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দুই সংসদ সদস্য ফয়সাল সারিলদিজ ও তুগবা হেজের এবং দলের সাবেক এমপি ওজদাল উজের রয়েছেন। গত বছরের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই এর পরিকল্পনার জন্য গুলেনকে দায়ী করে আঙ্কারা। ওই রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় ২৫০ ব্যক্তি নিহত ও অন্তত দুই হাজার মানুষ আহত হন।

প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে চালানো ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় নিজের জড়িত থাকার অভিযোগ কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন গুলেন। প্রচণ্ডরকম এরদোগান বিদ্বেষী এই নেতা ১৯৯৯ সাল থেকে আমেরিকায় স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন।

তুর্কি সরকার ফতেউল্লাহ গুলেনের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকে ‘ফতেউল্লাহ সন্ত্রাসী সংস্থা’ বা এফইটিও নামে অভিহিত করেছে।  এ ছাড়া, আঙ্কারা এ পর্যন্ত বহুবার গুলেনকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের জন্য ওয়াশিংটনকে রাজি করানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে।