জিয়াবুল হক , টেকনাফ:

টেকনাফ উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে বিদ্যুৎ সংযোগ ৮দিন পরও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোটা অংকের টাকা দিলে মিলছে সংযোগ, ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জরুরী তত্ত্বাবধানে দুর্ভোগ নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে আসলেও মাঠ পর্যায়ের ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রাহক। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘুষ বানিজ্যে পল্লী বিদ্যুৎ নামটি এখন সাধারণ মানুষের কাছে বিষ ফোঁড়া। এবং কয়েক দিন আগে টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ চালু হলেও টেকনাফ সদর , সাবরাং ইউনিয়ন, বাহারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাতে ৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এখনো সংযোগ মিলেনি। কিছু কিছু এলাকায় সংযোগ দিলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সংযোগ চালু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর যারা পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের টাকা দিতে না পারায় সেই সব এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীদের দেখা মিলেনি। তার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোরার ৮দিন পরও বিদ্যুতের আলো দেখেনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া, মৌলভী পাড়া, বড় হাবিব পাড়া, ডেইল পাড়া আংশিক, মহেষখালীয়া পাড়া, গোদারবিল, পল্লানপাড়া, লেঙ্গরবিল, আর সদর ইউনিয়নের সমাজের যারা প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে কথা- মোটার টাকার বিনিময়ে সংযোগ দিয়েছে অনেক এলাকায়। এই ভাবে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের ঘুষ বানিজ্য চলছে প্রকাশে দিবালোকে। টাকা দিলে সংযোগ সংস্কার মিলে অন্যতায় আশ্বাসের বুলি দিয়ে পার করে দিচ্ছে দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ বেস কিছু বিদ্যুৎ গ্রাহকের। কিন্তু টাকা দেওয়া হবে জানালে রাত-দিনে খেটে অনায়াসে সমস্যা সমাধান করে দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বরতরা। ঘুর্ণিঝড় তান্ডবে অধিক সংখ্যক সংযোগ বিচ্ছন্ন হওয়ায় হয়তো এ সুবিধা নিচ্ছে বলে জানান টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ও সাবরাং ইউনিয়নের স্থানীয় জনসাধারণ।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, এই পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা যে সব এলাকায় সংযোগ দিতে যায়, সে সব এলাকায় টেকনাফ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. শহীদ উল্লাহর নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ টাকা। এদিকে ইনচার্জের বিভিন্ন সময়ের অনিয়মের কারণে যেকোন সময় মারমুখী সংঘর্ষ হতে পারে বলে জানায় পল্লী বিদ্যুতের প্রতি ক্ষিপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু প্রতিবাদী যুবকরা।

এ ব্যাপারে টেকনাফ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. শহীদ উল্লাহ জানান, ঘুর্ণিঝড় মোরা’য় বেশকিছু বিদ্যুৎ খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। এই গুলো পুরোপুরি ঠিক হতে আরো কয়কদিন সময় লাগতে পারে। এবং আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত কাজে কোন কর্মচারী টাকা নিলে পুলিশের হাতে তুলে দিন।