পবিত্র রমজান মাসের রয়েছে অনেক প্রকার ফযিলত, রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য গুণাবলি এবং অনেক মনস্তাত্ত্বিক দিকের প্রজ্ঞাবহ নির্দেশক  ও আধ্যাত্মিক নেকী। তবে সাম্প্রতিক অমুসলিম বিজ্ঞানী কতৃক পরিক্ষিত ও গবেষনামুলক তথ্যে চাঞ্চল্যকর রহস্যের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, বের হয়ে এসেছে বিস্ময়কর ৭ স্বাস্থ্য   উপকারিতা।

নিম্নে তা বর্ননা করা হল।

১. খেজুরে বাজিমাত:

অনেকেই সওয়াবের উদ্দেশ্য খেজুর খেয়ে থাকলেও এতে রয়েছে শরীরের উপযোগী শর্করার পরিমাণ যা শরীরে যথেষ্ট শক্তি যোগায়। খেজুরে  রয়েছে প্রচুর  পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট,পটাসিয়াম, মেগনেসিয়াম আর ভিটামিন বি।  খেজুরে  বিদ্যমান ফাইবার আপনাকে হজমে সাহায্য করবে।

২.ব্রেইনের   গতি সঞ্চালন

এমনিতে এই পবিত্র মাসে ইতিবাচক মনোভাবের কারণে আপনার বেইন স্তিতিশীল থাকে, তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে রমজানে রোযাদারদের এই মানসিকতার কারনে নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টরের লেভেল বৃদ্ধি পেয়ে অনেক নতুন কোষ তৈরী করে। এতে ব্রেইনের গতি অপেক্ষাকৃত  সঞ্চালিত  হয়।

৩. বদাভ্যাস দূরীকরণ

ধুমপান, অতিভোজন, বেশী চিনিযুক্ত খাবার এসময় পরিহার করা হয় বলে বদাভ্যাস  দূর হয় যা শরীরে জন্যে খুবি উপকারী।

৪. কোলেষ্টরেল কমায়

ওজন কমানো রোযার মাসের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। দুবাইয়ের এক কার্ডোওলজীর দল খুঁজে  পেয়েছেন যে রোযাদাররা  এসময়ে তাদের লিপিড  প্রোফাইলে ইতিবাচক সাড়া পান, এতে প্রমাণিত হয় যে এটির কারন রক্তে কোলেষ্টরেলের পরিমাণ  কমে যায় । হার্টএটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি  কমায় এই পবিত্র শাওয়াল মাস।

৫. পাকস্থলী নিয়ন্ত্রক রাখে

রোযার মাসে খাবার কম খাওয়া হয়, তাই পাকস্থলী থাকে নিয়ন্ত্রনে, মজার ব্যাপার  হল, এসময়ে অল্প খাবার খাওয়ার যে অভ্যাস গড়ে উঠে তা পরবর্তীতে কম খাবারেও পেট ভরে যাওয়ার একটি  চমৎকার প্রক্রিয়া  এনে দেয়। তাই এই মাসে স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস করুণ।

৬. বিষাক্ত  পদার্থ  নিসঃরণ

পবিত্র রমজান মাস আধ্যাত্মিক ভাবে যেমন আপনার হৃদয়কে পরিমার্জিত করে তেমনি আপনার শরীরকে বিষাক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে রক্ষা করে। সারাদিন না খাওয়া আর পানি পান না করাতে হজম ক্রিয়ায় সুন্দর একটি  কার্য সম্পন্ন  হয়। এটি ক্ষতিকর টক্সিন কে বার্ন করে ফলে চর্বি কমে যায়। শরীরের এ শুদ্ধি অভিযান আপনাকে এনে দেয় প্রফুল্লতা।
৭.  পুষ্টি নিতে সহযোগিতা

সারাদিন উপোষ থাকার কারনে আপনার বিপাকতন্ত্র আরো বেশী এক্টিভ হয়ে উঠে,এটি এই কারনে হয় যে, গভীর  রাতে খাইয়া আর সারাদিন না খাওয়া। এতে হরমোনে এডিপোনেক্টিন বাড়াই,  মুলত এটি খাওয়া আর দীর্ঘ সময় অভ্যুক্তির সংমিশ্রণ।
তাছাড়া  ডায়োবেটিক কন্ট্রোল,  গ্যাস্ট্রিক দূরীকরণ,  রুচি বাড়ানো,  রক্ত দ্রুত সঞ্চালন এসবত আছেই।
সুত্র realbuzz.com
ভাষান্তর এম,ডি ম্যাক্স।