গতকাল (শনিবার) থেকে এই ছবিটি অসংখ্যবার দেখছি ফেসবুকে। অনেকেই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। আমারও কেন জানি খুব দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো।

যতোবারই ছবিটি আপলোড করার চেষ্টা করেছি, ততোবারই আমি ব্যর্থ হয়েছি। ছবির ক্যাপশনে কী লিখবো বারবার ভেবেও কোনো শব্দ খুঁজে পাইনি। ছবিটির দিকে তাকিয়ে ক্যাপশন খুঁজতে খুঁজতে মনে হলো আমার জীবনটাই এই ছবির ক্যাপশন।

রোজা রেখেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সংগঠনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করি, ক্লান্তি লাগে না। বরং সময়টা আমার ভালোই কেটে যায়।

ইফতারের আগমুহূর্তে আশেপাশের সবার মোবাইলে ফোন আসতে শুরু করে। প্রত্যেকের বাবা-মা ইফতারের আগে বাসায় ফেরার তাড়া দেন। সব সন্তানেরাই তো চায় বাবা-মায়ের সাথে ইফতার করতে। একে একে সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যায় বাসায়। আমি মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে একা একা বসে থাকি আর ভাবি ইফতারের আগে বাবা আর মা’র কথা। মনের অজান্তেই হারিয়ে যাই মা-বাবা বেঁচে থাকাকালীন রমজান মাস সময়ের সেই আগেকার দিনে…

ইফতারের আগে বাবার ফোন আসে না, মায়েরও ফোন আসে না। ফোরকান ডাইনিং টেবিলে খাবার সাজাতে থাকে, আমি চুপ করে বসে থাকি। গতকাল ফোরকান বলল, “মামা, মুখ কালো করে আছেন কেন? রোজায় কি খুব ধরেছে?”

আমি কোনো উত্তর দিলাম না। মনে মনে বললাম, “এতিমদের রোজায় খুব ধরে, ইফতারের আগে তাই চোখ দিয়ে পানি পড়ে।”

যাদের মা নাই বাবা নাই …

ইশতিয়াক আহমেদ জয়
ইশতিয়াক আহমেদ জয়

ইফতারের সময়ে তারা কতটা ভালোবাসার ক্ষুধায় ভোগে তা যদি কেউ অনুভব করে, তবে সে বুঝতে পারবে এই ছবিটা কতটা ভালোবাসা ও মমতায় ঘেরা। এই ছবিটিই আমার জীবনে মায়ের স্পর্শ হয়ে থাকুক দিনের দিনের পর দিন। নিজের জন্য নিজেই এই প্রার্থনা করি।

প্রাণপ্রিয় নেত্রী মমতাময়ী মা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মহান সৃষ্টিকর্তা অনন্তকাল আমাদের মাঝে আমাদের মতোন এতিমদের জন্য বাঁচিয়ে রাখুক।

মমতাময়ী মা ভালো না থাকলে ভাল থাকবে না বাংলাদেশ। ভালো থাকবেনা মা- বাবার ভালোবাসা, মায়া, মমতা বঞ্চিত আমার মতোন লক্ষ অনাথ শিশু, কিশোর কিংবা যুব তারুণ্য…

ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের ফেসবুক থেকে