একই কর্মস্থলে ২০ বৎসর  আশিষ :  তদ্বিরে ব্যস্তঃ তদন্ত কমিটি গঠন

মোঃ আকতার হোছাইন কুতুবীঃ

একই কর্মস্থলে ২০ বৎসর থেকেও স্বাদ মিটেনি আশিষের। বেপোরোয়া হয়ে হাই ভোল্টেজ তদ্বিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি । তার বিরুদ্ধে ১ জুন সচিব পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, মহা পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কক্সবাজার কে তার ঘুষ দূর্নীতি, অন্যায় অবিচারের প্রতিকার চেয়ে আবারো সরাসরি আবেদন করেছেন মানবাধিকার কর্মী কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়ার মোহাম্মদ উল্লাহ। এর আগে মন্ত্রী বরাবরে আশিষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করলে জাতীয় ও স্থানিয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে উপরিমহলে  টাকা দিয়ে হাই ভোল্টেজ তদ্বির শুরু করে দিয়েছেন। যাতে তার ঘুষ দূনীর্তির প্রধান চেয়ার কক্সবাজার পরিবার পরিকল্পনা অফিসের প্রধান সহকারীর চেয়ারটি আকঁড়ে ধরে রাখতে পারেন।

তিনি একজন কক্সবাজার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জুনিয়র পরিসংখ্যান কাম অফিস সহকারি ও পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়ে ও হালে নিজ এলাকায় তার পরিচিতি একজন ধনকুবের। কক্সবাজার শহরে সহ উখিয়া রত্না পালং তার গ্রামের বাড়ীতে আপন ভাইয়ের নামে প্রায় ৬ থেকে ৭ খানি জমি ও স্ব-নামে বেনামে অনেক সহায় সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। রয়েছে বিপুল অংকের ব্যাংক ব্যালেন্স আর ব্যবসা বাণিজ্য তার এ পুলে ফেপে ওটার নৈপথ্যে রয়েছে চমকপদ কাহিনী। তিনি কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে কর্মরত দীর্ঘ ২০ বৎসর। পিলে চমকানোর মতো আর্শ্চয্যের বিষয় হলো তিনি দীর্ঘ ২০ বৎসর একই কর্মস্থলে চাকরি করে যাচ্ছেন কিন্তু দেখার যেন কেউ নাই । তার  অপকর্মর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মোঃ নাসিমের বরাবরে আবেদন করেছেন, কক্সবাজার শহরের তারাবানিয়ার ছড়া হাজী জাফরের পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। প্রতিবাদি ও সচেতন মোহাম্মদ উল্লাহর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আশিষ কুমার বড়ুয়া দীর্ঘ ২০-২২ বৎসর ধরে এখই কর্মস্থলে চাকরি করার সু-বাদে অফিসটিকে দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছেন। সরকারী বিধি মোতাবেক একই কর্মস্থলে ৩ বৎসর থাকার বিধান থাকলেও সবাইকেচোখে ধুলো দিয়ে  আশিষ উপরিমহলকে ম্যানেজ করে ২০-২২ বৎসর কক্সবাজার অফিসে একই কর্মস্থলে থেকে ঘুষ দুর্নীতিকে মহোৎসবে পরিনত করেছেন।অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় , আশিষ অবৈধ উপায়ে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছেন। তার অবৈধ টাকা দিয়ে চতুর আশিষ তার নিজের নামে জমি না কিনে তার আপন ছোট ভাই অসীম কুমার বড়ুয়ার নামে প্রায় ২ কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন। একজন সরকারী কর্মচারী হয়ে আলাউদ্দিনের চেরাগ পেল কোথায়? জানতে চায় সচেতন মহল। ঘুষ খোর আশিষ হঠাৎ করে ধন কুবের মালিক বনে যাওয়ায় মানুষকে মানুষ হিসাবে গন্য করেনা। তিনি আবেদন খানায় আরো উল্লেখ করেন সঠিকভাবে সরকারী দায়িত্ব পালন না করে ঘুষ দূর্নীতিতে ব্যস্ত থাকেন আশিষ। সরকারী অফিস কে করেছেন নিজস্ব বেড রুমের মত। নিয়মিত অফিস না করে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। এমনকি সে পুরো জেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের হুমকী দিয়ে মাসহারা আদায় করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এমন কোনো আকাম নাই আশিষ বাবু করেন না। তার কথা মতো ওট বোস না করবে তার কপালে দুঃখের কালিমা লেপন পড়ে যাবে।

অভিযোগকারী মোহাম্মদ উল্লাহ আরো বলেন, তিনি যদি ঘুষ দূর্নীতি না করেন কক্সবাজার শহরে আলীশান প্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রাজার হালে পরিবার নিয়ে থাকেন কিভাবে । কতটাকা বেতন তিনি পান? তার মেয়ে পড়ে মেডিকেলে, ছেলে পড়ে সরকারী স্কুলে। এই ব্যাপারে কক্সবাজার পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ পরিচালক ডাঃ পিন্টু কান্তি ভট্টচায্য বলেন আমি আশিষের বিরুদ্ধে অভিযোগের কপি আজ রবিবার হাতে পেয়েই ২ সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দিই। তরা হলেন কক্সবাজার সদরের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছেরাজ আহমদ ও কুতুবদিয়ার মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশরাফ ছিদ্দিকী। আমি তার ঘুষ দূর্নীতি অবৈধ কোন কিছুকেই আশ্রয় প্রশ্রয় দিব না। আমি নিজেও আশ্চর্য হয় একজন সরকারী কর্মচারী কিভাবে একই কমস্থলে ২০ বছর থাকে।

এই ব্যপারে অভিযুক্ত আশিষের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি তদন্তকারী কর্মকর্তা নাকি -আপনি আমার বিরুদ্ধে উত্তাপিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যে আপনাকে বলতে হবে? আমি ২০ বছর ধরে আছি সেটা সত্য, আমার অধিদপ্তরের উপরিমহল আমাকে রেখেছে বলে আমি বহাল তবিয়তে আছি। পারলে আপনি আমাকে অন্যত্রে বদলি করে দেন। আশিষ এই প্রতিবেদককে আরো বলেন আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই কিন্তু আপনি আমাকে সেই সুযোগ দেন না আপনার কি টাকার চাহিদা নাই নাকি।

চলমান……..