সোয়েব সাঈদ, রামু:

নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে প্রলংকরী ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কয়েকদিন ধরে তিনি কক্সবাজার ও রামু উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যান। এসবএলাকার ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়ি পরিদর্শন করে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ও দূর্গত নারী-পুরুষদের নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন।

অর্থ সহায়তা পেয়ে খুশি হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। তাদের মতে, অনেকের বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার অনেকে বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে না খেয়ে ছিলো। তাই এমন সময় আর্থিক সহায়তা পেয়ে তারা তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় সংকট মেটাতে পারছেন। দূর্গত লোকজন এমন উদ্যোগের জন্য সাংসদ কমলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল গত শুক্রবার (২জুন) সারাদিন রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা, মৌলভী কাটা, কচ্চপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ মৌলভীকাটা, তিতারপাড়া, দোছড়ি এবং গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন দূর্গত এলাকা ও গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ধ্বসে পড়া একাডেমিক ভবনসহ ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ওইসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত নারী-পুরুষদের নদগ অর্থ সহায়তা দেন। সাংসদ কমল গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ধ্বসে পড়া একাডেমিক ভবন সংস্কারের জন্য তাৎক্ষনিক ৩০ হাজার টাকা দেন এবং আরো দুই লাখ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষনা দেন।

এরআগে গত বৃহষ্পতিবার (১ জুন) বিকালে সাংসদ কমল রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়ন, এবং বুধবার (৩১মে) কক্সবাজারের কুতুবদিয়া পাড়া ও সমিতি পাড়া, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়াপাড়া এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে।

খুনিয়াপালং ইউনিয়নের উপকুলীয় গ্রাম হিমছড়ি, পেঁচারদ্বীপ, গোয়ালিয়াপালং সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে খুনিয়াপালং ই্উনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাংসদ কমল বৃহত্তর ঈদগাও গজালিয়াপাড়া এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় নিহত শাহানা আকতারের বাড়িতে গিয়ে যান। এসময় সাংসদ কমল নিহত শাহানা আকতারের মা সহ পরিবারের সদস্যদের শান্তনা জানান এবং পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থ সহায়তা দেন।

এদিকে এসব এলাকা পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন সাংসদ কমলকে পেয়ে ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ভয়াবহতা তুলে ধরেন এবং ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরেন। সাংসদ কমল তাদের ধৈর্য ধারন করার আহবান জানান এবং সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দেন।

দূর্গত এলাকাসমূহ পরিদর্শন ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানকালে সাংসদ কমল কক্সবাজার-রামুর অসংখ্য পথসভায় বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে সাংসদ কমল বলেন, সরকার অতীতের মতো এখনো দূর্গত মানুষের পাশে রয়েছে। মানুষ যেন কোনভাবে কষ্ট না পায় সেজন্য যা যা করার সবই করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাৎক্ষনিক সংকট মেটানোর জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধিন সরকার, জনবান্ধব সরকার। তাই সুখে-দুখে এ সরকার সবসময় জনগনের পাশে থাকে। জনকল্যাণে যা করার তাই করে। ঘূর্ণিঝড় মোরা’র শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সরকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে রয়েছে।

রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম বলেন, রামুতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, অগ্নিকান্ডসহ যে কোন দূর্যোগময় মুহুর্তে যাকে মানুষ কম সময়ে কাছে পেয়েছে তিনি হলেন, জননেতা সাইমুম সরওয়ার কমল। ওমরা পালন করে তিনি দেশে এসেই ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় আক্রান্তদের পাশে দাঁিড়য়েছেন। তিনি কক্সবাজার ও রামুর প্রতিটি আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের কল্যাণে তাঁর মতো নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তা এখন সবাই উপলব্দি করছে। মানুষের বিপদের বন্ধু সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলকে আগামীতেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

শুক্রবার রামুর কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়ায় দূর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংসদ কমলের সাথে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মুসরাত জাহান মুন্নী, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য শামসুল আলম ও নুরুল হক কোম্পানী, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান মুফিজ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরকান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সোহেল সিকদার, গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফেজ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মওলা, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও সাংসদ কমলের একান্ত সচিব মিজানুর রহমান, সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারি ও রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আজিজুল হক আজিজ সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।