সোয়েব সাঈদ, রামু:

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি ছিলো বলেই জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় প্রাণহানি কম হয়েছে। তবে শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও বসত বাড়িতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সকল সহায়তা দেয়া হবে। যাদের বসত ঘর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে, তাদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। আবার যারা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ঢেউটিন সহ প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধিন সরকার, জনবান্ধব সরকার। তাই সুখে-দুখে এ সরকার সবসময় জনগনের পাশে থাকে। জনকল্যাণে যা করার তাই করে। ঘূর্ণিঝড় মোরা’র শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সরকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে রয়েছে। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের সহ কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দও কক্সবাজারে এসে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছেন।

সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল আজ শুক্রবার (২জুন) বাদে জুমা রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়ি পরিদর্শন এবং অর্থ সহায়তা প্রদান শেষে স্ব-স্ব এলাকায় আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন।

সমাবেশে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম বলেন, রামুতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, অগ্নিকান্ডসহ যে কোন দূর্যোগময় মুহুর্তে যাকে মানুষ কম সময়ে কাছে পেয়েছে তিনি হলেন, জননেতা সাইমুম সরওয়ার কমল। ওমরা পালন করে তিনি দেশে এসেই ঘূর্ণিঝড় মোরা’য় আক্রান্তদের পাশে দাঁিড়য়েছেন। তিনি কক্সবাজার ও রামুর প্রতিটি আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের কল্যাণে তাঁর মতো নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তা এখন সবাই উপলব্দি করছে। মানুষের বিপদের বন্ধু সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলকে আগামীতেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথ সভায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মুসরাত জাহান মুন্নী, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য শামসুল আলম ও নুরুল হক কোম্পানী, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান মুফিজ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরকান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সোহেল সিকদার, গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফেজ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মওলা, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও সাংসদ কমলের একান্ত সচিব মিজানুর রহমান, সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারি ও রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আজিজুল হক আজিজ সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে সাংসদ কমল দুপুর ২টায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রিকাটায় যান। সেখানে দর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত নারী-পুরুষের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা দেন। পরে বিকাল তিনটায় তিনি একই ইউনিয়নে মৌলভী কাটা, কচ্চপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ মৌলভীকাটা, বিকাল চারটায় তিতারপাড়া, দোছড়ি এলাকায় দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দেন। বিকাল পাঁচটায় সাংসদ কমল গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দেন। এছাড়াও সাংসদ কমল গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ধ্বসে পড়া একাডেমিক ভবন পরিদর্শন করেন এবং ভবনটি সংস্কারের জন্য তাৎক্ষনিক ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং আরো দুই লাখ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষনা দেন।

এদিকে এসব এলাকা পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন সাংসদ কমলকে পেয়ে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র ভয়াবহতা তুলে ধরেন এবং ক্ষয়ক্ষতির বর্ণণা দেন। সাংসদ কমল তাদের ধৈর্য ধারন করার আহবান জানান এবং সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দেন।