খালেদ হোসেন টাপু, রামু:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে কক্সবাজারে রামুতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়িঘর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, গাছপালা, বিদ্যুৎ লাইন, পানের বরজ, ক্ষেতখোলা, ইট ভাটা, বিভিন্ন মালিকানাধীন বাগানের বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোর ৬ টার দিকে রামুতে ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত করে। তবে এ ঘুর্নিঝড় মোরা’র আক্রমনে হতাহত না হলেও জনসাধারণের সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও ভারি বৃষ্টিতে রামু উপজেলা ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার শত শত ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এবং গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
তবে ঘূর্ণিঝড় মোরাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছিল।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহজাহান আলি জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় মোরাকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকে যথেষ্ট প্রস্ততি ছিল। সতর্ক সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা ও ইউনিয়নে মাইকিং করে সতর্কবার্তা দিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। ঘূর্নিঝড় মোরার আঘাতে কম-বেশী ২৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, উপজেলা প্রশাসন উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নসহ সব গুলো ইউনিয়নের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার সরবারহ অব্যাহত ছিল। তিনি আরও জানান ঘুর্নিঝড় মোরা আঘাতে রামুর উপকুলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।