ইমাম খাইর, সিবিএন:
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জেলা প্রশাসনের সভায় জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ প্রভাবে জেলায় ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়ায় মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন। পাশাপাশি উপকূলীয় বাসিন্দাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরাপদে আশ্রয়ে আনা, খাদ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা, সংবাদ ও তথ্য প্রচারসহ সর্বাত্বক সহযোগিতা করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বিকালে এ সভা অনুষ্টিত হয়।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে টেকনাফ, মহেশখালি, কুতুবদিয়া উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়। রাস্তা-ঘাটের তেমন ক্ষতি হয় নি। ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় প্রায় ৮৮টি ম্যাডিকেল টিম কাজ করেছে। প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন জি আর চাউল ও এক লক্ষ টাকা করে নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং তা দ্রুততার সাথে বিতরনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২ হাজার প্যাকেট রান্না করা খাবার (খিচুড়ি), শুকনো খাবার, ঔষধ, পানীয় জলসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিতরণ করা হয়। বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসন থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মহোদয়। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতিমধ্যে দ্রুততার সাথে করনীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি মো: আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আনোয়ারুল নাসের, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, র‌্যাব কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।