ইমাম খাইর, সিবিএন
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এখনো কাটেনি। আশ্রয় নেয়া মানুষজনকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। কিন্তু এই নির্দেশনা মানতে নারাজ ঘর ছেড়ে আসা লোকজন। মঙ্গলবার ভোর হতে না হতেই তারা আপন ঠিকানায় ছুটতে শুরু করেছে।

শহরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকা ঘুরে এ অবস্থা দেখা গেছে।

ধমকা হাওয়া থামলেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সাগরের পানি ৪/৫ ফুট বেড়েছে। সংকেত কাটতে আরো অন্তত ৩ ঘন্টা লাগতে পারে। সেই পর্যন্ত সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে সবচেয়ে বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। এমন তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন।

বেশী ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় সেন্টমার্টিনের পরে রয়েছে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং, আলী আকবর ডেইল, মহেশখালীর কুতুবজুম, ধলঘাট, মাতারবাড়ী, পেকুয়ার মগনামা, উজানটিয়াসহ উপকূলের আরও কয়েকটি এলাকা।

ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে নিস্তব্ধ কক্সবাজার শহর।

তবে প্রচন্ড বাতাসের আঘাতে কমবেশী বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিশেষ করে কাচা ঘরবাড়ি, গাছ গাছালি, পানের বরজের ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানান তিনি।

সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ক্রমেই বাড়ছে। শাপরীরদ্বীপের সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষগুলি বেচেঁ থাকার জন্যে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্টে। -সোমবার রাতের ছবি।ো