আবদুল্লাহ আল আজিজ :

সরকারের দেয়া দায়িত্ব যথাযত ভাবে পালন করে চলেছেন দায়িত্ববান উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন। উপজেলার উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য বিরামহীন কাজ করে চলেছেন।

তাঁর অনেক মেধা, যোগ্যতা ও সাহসী পদক্ষেপের কারণে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর উখিয়া উপজেলায় অনেক সৎ, নির্ভীক দক্ষ ও কৌশলী নির্বাহী অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন।

কিন্তু উখিয়া উপজেলার বর্তমান নির্বাহী অফিসার এই অল্প সময়ে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তার,কর্মচারীসহ উখিয়ার সচেতন মানুষের মধ্যে ভালো স্থান করে নিয়েছেন। সত্যকে সত্য বলা, আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলা এই নীতিটিই ধারন করে, এই অল্প সময়ে উখিয়া উপজেলা যানজট মুক্ত, সেই সাথে বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি রোধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সফলতা দেখিয়েছেন।
এর ফলস্বরুপ ইতোমধ্যে তিনি জেলার শ্রেষ্ট ইউএনও হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রথমে পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়ম শৃঙ্খলা ফিরে আনেন আর এলাকায় কিছু অনিয়মের অভিযোগে পর্যায়ক্রমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন মামলায় অনেককে বিভিন্ন জরিমানা সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। এর মধ্যে বাল্য বিয়ে বন্ধ, জুয়া, অবৈধ স্থাপনা,স্বাস্থ্য খাতে, মোটর যান, ভেজাল দ্রব্য ও মাদকের অভিযোগে মামলা সহ বিভিন্ন জরিমানা আদায় করে এলাকার আইন শৃঙ্খলার যথেষ্ট উন্নয়ন সাধন করেছেন।

এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে কাজের সুষ্ঠ তদারকি, দুর্নীতি দমন, নকল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহণ, বরাদ্দকৃত সরকারী অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিন্তকরণে সাহসী পদক্ষেপ অনেক প্রশংসার দাবি রাখেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে উখিয়া উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া সরবরাহ করে কন্টেন তৈরির প্রশিক্ষণ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত মনিটরিং করে শিক্ষার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এতিম, প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সুফল পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাঁর দক্ষ এবং সাহসী পদক্ষেপে উখিয়া উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যানজট মুক্ত করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির আরও একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

ভিজিডি, ভিজিএফ রিলিফের সুষ্ঠ বন্টন করার সক্ষমতা অর্জন করে তিনি সফল হয়েছেন যার ধারবাহিকতার ছাপ রেখেছেন টি,আর, কাবিখা কর্মসৃজন, এলজিএসপি, ইউপিজিপি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান এবং উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে থেকে অংশ নিয়ে কাজের ধারা অব্যাহত রেখে চলেছেন।

তিনি উপজেলা পরিষদ ভবনসহ অন্যান্য অফিস ভবনের সামনে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য (রুপকথার উপজেলা কিংবা পার্কের মত) ফুলের বাগান তৈরী করেন, পরিষদের চার পাশে ফুল বাগান প্রতিষ্ঠা করে উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন করেন।

উখিয়াকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তার সঠিক দিকনির্দেশনা সহ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়া পবিত্র রমজান শুরুর পূর্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে ভোক্তারা প্রতারিত না হওয়ার জন্য মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মাইকিং করে মুল্য তালিকা টাঙ্গানো সহ দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং তিনি তা বাস্তবায়ন করাতে মূল্য নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় ভোক্তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের লাঘব হলো। এইছাড়া প্রথম রমজানে গরীব দুস্থ জনগনের মাঝে ইউএনও মাঈন উদ্দিনের ত্রাণ বিতরন। এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। যা উখিয়ার ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।

তাঁর এই উন্নয়ন কাজের জন্য উপজেলার কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্হার কর্মীসহ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবি সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ সন্তোষ প্রকাশ ও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁরা এই সৎ, নির্ভীক কর্মকর্তার দীর্ঘায়ু ও উন্নতি কামনা করেছে সচেতন মহল সহ সর্ব সাধারণ।

উন্নয়নের কাজের ধারাবাহিতার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানায়, ভবিষ্যতে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন আমি আমার দায়িত্ব পালন করে জন-সাধারানের মাঝে সরকারের সেবা তাদের দৌড়গড়ায় পৌঁছে দিতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাবো। পাশাপাশি ভবিষ্যতে উপজেলায় বা সরকারি যে কোন দপ্তরে থাকি না কেন উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখব।