শফিক আজাদ, উখিয়া:

রোযার দিনে সবাই চায় সুন্দর ভাবে অনন্ত বেলা দু’মুঠো ভাত মুখে দিতে। কিন্তু নিয়তির কারনে কয় জনে পারে এভাবে আহার জোগাড় করতে? হয়তো কেউ নিজের আয়ের উৎসব থেকে না হয় কারো দান খয়রাতের মারফত থেকে। ঠিক উখিয়ার ৫শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের কপালে মিলল ধর্ণাঢ্য গ্লোবাল ওয়ান নামের একটি প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে ত্রাণ। এসব ত্রাণ গুলো একমাত্র ইউএনও’র ঐকাতিক প্রচেষ্টায় হতদরিদ্রদের হাতে পেল।

জানা গেছে, রমযানকে ঘিরে দেশি-বিদেশী কিছু ব্যক্তি, প্রতিষ্টান সাধারণ গরীব, হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে থাকে। তবে এসব ত্রাণের বেশির অংশ চলে যায় উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে। যেহেতু কুতুপালংয়ে রেজিষ্ট্রার্ড ১৩হাজার ছাড়াও ২ বস্তিতে আরো লক্ষাধিক অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে। যারা সদ্য অনুপ্রবেশকারী। এসব রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে খাদ্য, স্বাস্থ্য, বাসস্থান সহ বিভিন্ন মৌলিক চাহিদায় চরম অভাব-অনটন দেখা দিলেও সরকারী-বেসকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা এখনো পায়নি এসব বাস্তুহারা রোহিঙ্গারা। কিন্তু গতকাল রবিবার উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় উখিয়া উপজেলার ৫ইউনিয়নের প্রায় ৫শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে গ্লোবাল ওয়ান কর্তৃক প্রদত্ত ত্রাণ বিতরণ করেন। এতে রয়েছে চাউল, ডাল, চিনি, খেজুর, সেমাই, ছোলা, তেল প্রবৃদ্ধি। ত্রাণ নিতে আসা আব্দুল গণি (২৫) বলেন, ইউএনও কর্তৃক বিতরণকৃত ত্রাণ প্রকৃত গরীব মানুষের হাতে পৌছেছে। এজন্য তিনি ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, আমার উদ্দেশ্যে হচ্ছে প্রকৃত গরীব অসহায় মানুষের কাছে কিছু আহার পৌছে দেওয়া। তাই আমি গ্লোবাল ওয়ান কর্তৃক প্রদত্ত ত্রাণ গুলো যথাযথ ভাবে বিতরণ করতে পেরে আল্লাহ কাছে শোকরিয়া আদায় করছি।