মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও:

পোকখালীতে নির্বাচনী প্রতিহিংসার জেরে এক জনপ্রিয় মেম্বারকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগীর পরিবার। র‌্যাব রোববার সকালে গোমাতলী থেকে ঐ জনপ্রতিনিধিকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজায়। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন আটকের স্বজনরা। রোববার বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট এ অভিযোগ উত্থাপন করে আটক ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার কলিম উল্লাহর স্ত্রী রোকসানা আক্তার জানান, গত ইউপি নির্বাচনে তার স্বামী বিপুল ভোটে পূর্ব গোমাতলী বাংলা বাজার থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাান্বিত হয়ে উঠে একই ওয়ার্ডে একাধিকবার পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ছলিম উল্লাহ। তিনি ফকিরা ঘোনার বাসিন্দা। যতই দিন যেতে থাকে তার ঈর্ষাপরায়ণ মনোভাব ততই বৃদ্ধি পেতে থাকে। সর্বশেষ তার এ ঈর্ষা পরায়ণতার বলি হলেন আমার স্বামী। পরাজিত ঐ প্রার্থীর যোগসাজশে র‌্যাব-৭ এর একটি দল রোববার পবিত্র রমজান শুরুর ১ম দিনেই আমাদের বাড়ীতে কয়েক ঘন্টা তল্লাশীর নামে তান্ডবলীলা চালায়। এক পর্যায়ে আমার নিরীহ স্বামীকে আটক করে। পরে আমাদের বসতভিটা থেকে অনেক দুরে একটি স্থান থেকে ২টি অস্ত্র উদ্ধার করে তারা। যা আমার স্বামী থেকে পাওয়া গেছে মর্মে প্রচার করে র‌্যাব। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, সন্ত্রাসী ও মামলাবাজ প্রকৃতির প্রতিহিংসা পরায়ণ ও পরাজিত মেম্বার দীর্ঘদিন আমাদের পরিবারকে টার্গেট করেছে। সে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। তার সাঙ্গপাঙ্গ তথা মিজান, হানিফ, আয়াছ, ওসমান, টপিক, মুবিন, অহিদ, হাসেমসহ অনেকে এ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সাথে তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসাজশ রয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। ঐ দূষ্কৃতকারীর ভাই ইদ্রিছ, আবছার, মোজাম্মেল ও তার শ^শুর রমজানের যোগসাজশে এলাকায় নানা অপকর্ম চলছে বলে লোকমুখে জানা গেছে। মেম্বার পদে নির্বাচিত হতে না পারার ক্ষোভে সে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদের সচ্ছল পরিবারটিকে পথে বসানোর নানা ফন্দি ফিকির করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় অস্ত্র উদ্ধার নাটক বলে আমাদের মনে হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে রোকসানা আক্তার আরো জানান, তার স্বামী কখনো অস্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত নন। তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার জনগণের সেবক হয়ে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি কোমর ব্যাথায় আক্রান্ত। এতদসত্ত্বেও অভিযানকারীরা তার স্বামীকে উপুর্যপুরী মারধর করে। যার কারণে তারাই তাকে চিকিৎসার জন্য রামু হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে বলে তাদের কাছে খবর এসেছে। পরিবারের অভিভাবক ও একমাত্র কর্তা হিসাবে তার অবর্তমানে আমার সুন্দর ও সাজানো সংসারটি চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। সংসারে ৩ মেয়ে স্কুল পড়ুয়া ১ ছেলে নিয়ে বর্তমানে তিনি অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখছেন না। এমতাবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার আকুল আবেদন এই যে, সরেজমিন তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যাসত্য বের করে তার নিরীহ স্বামীকে অস্ত্র মামলা থেকে নিষ্কৃতি ও জনগণের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া হোক। অভিযোগকালে আটকের স্কুল পড়ুয়া পুত্রসহ অন্য স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।