জালাল আহমদ, ঢাবি থেকে :

বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে, যারা সরকারের অন্যায় কাজের বিরোধিতা করছে তাদেরকে মামলা হামলা দিয়ে  হয়রানি করে জেল খানায় পাঠাচ্ছে। তার সর্বশেষ শিকার হয়েছেন  ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী সহ চার জন প্রগতিশীল কর্মী। সরকার ভোটের রাজনীতির  জন্য, হেফাজত কে  আস্থায় আনার জন্য, ন্যায় বিচারের ভাস্কর্য সরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়  আঘাত হানছে।যারা এ জঘন্য কাজের প্রতিবাদ করছে তাদেরকে  টিয়ার শেল,রাবার বুলেট দিয়ে পিটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিক্ষেপ করছে। আজ রংপুর,মোলভী বাজার সহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশী বাধা দেয়ার নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন,সরকার সারা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।
গতকাল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গন হতে ভাস্কর্য অপসারণের বিরুদ্ধে  প্রগতিশীল ছাত্রজোটের  ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া,মিছিলে হামলা ও আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আজ রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে প্রগতিশীল ছাত্র – জনতার  ব্যানারে আয়োজিত  এক  সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার  তপনের সভাপতিত্বে  ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্সের পরিচালনায় এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা মানবেন্দ্র দে,রবিউল হাসান,নাইমা খালেদ অনিকা,আসাদুজ্জামান মাসুম,তুহিন কান্তি  দাস,আকরামুল হক প্রমুখ। সমাবেশ হতে আগামীকাল লিটন নন্দী সহ আটক চার জনের জামিন না হলে আগামী ১ জুন স্বরাষ্ট  মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হয়।