আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ধর্মের নামে হানাহানি যখন দেশের রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে ঠিক তখনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়ল পাঞ্জাব। এই রাজ্যের বসবাসকারী শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রমজানের আগেই তাদের গ্রামে গড়ে তুলবেন মসজিদ। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও করেছেন তারা। খবর হাফিংটন পোস্টের।

গ্রামের লোকজন চেয়েছেন তাদের গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন রমজানের দিন যেন মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারেন। আর এই উদ্যোগের মাধ্যমেই তারা চান দেশের ঐতিহ্য অর্থাৎ ‘ইউনিটি ইন ডায়ভারসিটি’ ফিরে আসুক।

পাঞ্জাবে গালিব রাম সিং ওয়াল গ্রামটি শিখ এবং হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম। সেখানে রমজানের একমাস আগেই মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়েছে। এই গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের গ্রামে বহুদিনের দাবিতে হজরত আবু বাকার নামে সুন্দর একটি মসজিদ তৈরি করা হয়েছে।

রমজানের আগে মুসলিমদের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় উপহার। গালিব রাম সিং ওয়াল গ্রামটির জনসংখ্যা প্রায় ১৩শ। সেখানে ৭শ জন শিখ, ২শ জন হিন্দু এবং ১৫০ জন মুসলিম বাসিন্দার বসবাস। ভারত-পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পরে মুসলিম বাসিন্দারা এখানে আশ্রয় নেন।

পাঞ্জাবের শাহী ইমাম মৌলানা হাবিবুর রহমান সানি লুধিয়ানভি জানান, এখানকার গ্রামবাসীরা যা করলেন তা এক কথায় ভাতৃত্ববোধের অনন্য নিদর্শন। এতদিনে মুসলিমদের একটি নিজস্ব মসজিদ হলো।

১৯৯৮ সালে এই মসজিদ নির্মানের উদ্দেশ্যে গ্রামের লোকজন একটি প্রস্তাব তৈরি করেছিল। এতদিন পরে তা বাস্তবায়ন হলো। এই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জয়দীপ কাউর বলেন, এটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই গ্রাম অন্যদের শেখাবে কিভাবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন এখানে পরস্পরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করছে।