প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
জেলাবাসীকে আসন্ন মাহে রামাদানের শুভেচ্ছা এবং রামাদানের পবিত্রতা রক্ষার আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, রাহমাত, মাগফেরাত ও নাজাতের বারতা নিয়ে পবিত্র মাহে রামাদান আমাদের মাঝে আবারও সমাগত। আতœশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাস হিসেবে মুমিন বান্দারা এমাসে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুনা লাভে মনোনিবেশ করেন। কুরআন নাযিলের মাস হিসেবে রামাদান মাসের মর্যাদা অন্য মাসগুলোর চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন। অন্ধকারচ্ছন্ন পৃথিবীতে আলোর মশাল জ্বালিয়ে দিয়েছিল মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আজকের সময়েও মহাগ্রন্থ আল কুরআন অনুশীলন, অনুধাবন ও অনুকরণের মধ্যেই বিশ্বশান্তি ও মানবতার মুক্তি নিহিত রয়েছে। তাই আমাদের উচিত কুরআন নাযিলের মাসে কুরআনিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসা এবং আতœশুদ্ধি অর্জনের শপথ গ্রহণ করা। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, রামাদানের আগমনী বার্তার সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগাম ছাড়া হয়ে পড়েছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের মজুদ গড়ে তুলে মূল্য বৃদ্ধির কারসাজিতে ব্যস্ত। আমরা প্রশাসনিক নজরদারির মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে নামিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নির্বিঘেœ রামাদানের রোজা পালনের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আহবান করছি। দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ রাখা ও অশ্লীলতা-বেহায়াপনার, মদ, জুয়া রোধে কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার সারা বছরই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে, হত্যা করছে ও গুম করছে। মানুষ যাতে শান্তিতে নিরাপদে পবিত্র মাহে রামাদানের রোজা পালন করতে পারে সে জন্য রামাদান মাসে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, হত্যা , গুম ও নির্যাতন বন্ধ রাখার এবং আসন্ন রামাদানের পূর্বেই আটককৃত সকল নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিয়ে মুক্ত পরিবেশে রোজা পালনের সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।