জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া:

তীব্র তাপদাহের সাথে লোহাগাড়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে ব্যাংক ও বিভিন্ন অফিসের কাজসহ নাগরিক ভোগান্তি চরমে উঠেছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে দিনের বেশিরভাগ আর রাতের প্রথমভাগ চলছে এই লোডশেডিং। ফলে প্রতিদিন ঘনঘন লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন লোহাগাড়া উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের অভাবে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছেনা এবং পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘœ ঘটছে। বার বার লোডশেডিংয়ের কারণে রাতেরবেলা শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না কেউ।

প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ ঘন্টা লোডশেডিং নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আকাশে একটু মেঘ হলেই বা হালকা ঝড়-বৃষ্টির ভাব দেখা দিলে লোহাগাড়ায় দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। একদিকে গরমের দিন তার উপর বিদ্যুতের উপুর্যপরি দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের কারণে উপজেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও গৃহস্থলির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পর হতেই পুরো উপজেলায় অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। লোডশেডিংয়ের কারণে সারাক্ষণই বিদ্যুতের আশায় বসে থাকতে হয় এখানকার অধিবাসীদের। বিদ্যুতের অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ের কারণে পিছিয়ে পড়েছে এখানকার সার্বিক কার্যক্রম।

গ্রামে-গঞ্জে প্রতিনিয়ত চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট বাজারে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকে বলেন, যে কোন সময় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করবে। শিক্ষক সোলাইমান বলেন, লোহাগাড়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং রেকর্ড করেছে। তীব্র তাপদাহের সাথে লোডশেডিং। তীব্র লোডশেডিং এর ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ হারাতে বসেছে। লোডশেডিং না কমলে প্রচন্ড গরমে মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের অনেক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের ফোন করেও সমলোডশেডিং এর সঠিক কারণ জানা যায় না। ফোন করলেও ফোন রিসিভ হয়না।

এদিকে লোহাগাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বেলায়েত হোসেন বলেন, লোহাগাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদা যেখাসে ১৬ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে ৪ মেগাওয়াট। উপজেলার সব জায়গায় যেহেতু বিদ্যুৎ সরবারাহ দিতে হচ্ছে। সে জন্য এক লাইন বন্ধ রেখে অন্য লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশডিং এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ি বিদ্যুৎ ফেলে লোডশেডিং তো হবেই।