মোঃ আকতার হোছাইন কুতুবীঃ

তিনি একজন কক্সবাজার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জুনিয়র পরিসংখ্যান কাম অফিস সহকারি। পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি তবে হালে নিজ এলাকায় তার পরিচিতি একজন ধনকুবের। কক্সবাজার শহরে সহ উখিয়া রত্না পালং তার গ্রামের বাড়ীতে আপন ভাইয়ের নামে প্রায় ৬ থেকে ৭ কানি জমি ও স্ব নামে বেনামে অনেক সহায় সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। রয়েছে বিপুল অংকের ব্যাংক ব্যালেন্স আর ব্যবসা বাণিজ্য তার এ ফুলে ফেপে ওটার নেপথ্যে রয়েছে চমকপ্রদ কাহিনী। দূর্নীতির বরপুত্র এ কর্মচারী হলেন আশিষ কুমার বড়ুয়া। তিনি কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে কর্মরত। পিলে চমকানোর মতো আর্শ্চয্যের বিষয় হলো তিনি দীর্ঘ ২০ বৎসর একই কর্মস্থলে বেপোরোয়া ভাবে চাকরি করে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি তার এ অপকের্মর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী মোঃ নাসিমের বরাবরে আবেদন করেছেন, কক্সবাজার শহরের তারাবানিয়ার ছড়া হাজী জাফরের পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ প্রতিবাদি ও সচেতন মোহাম্মদ উল্লাহ অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, দূর্নীতির বরপুত্র আশিষ কুমার বড়ুয়া দীর্ঘ ২০-২২ বৎসর ধরে এখই কর্মস্থলে চাকরি করার সুবাদে অফিসটিকে দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। সরকারী বিধি মোতাবেক একই কর্মস্থলে ৩ বৎসর থাকার বিধান থাকলেও সবাইকে চমক লাগিয়ে দিয়ে দূর্নীতিবাজ আশিষ উপরিমহলকে ম্যানেজ করে ২০-২২ বৎসর কক্সবাজার অফিসে একই কর্মস্থলে থেকে ঘুষ দুর্নীতি মহোৎসবে পরিণত করেছেন। আশিষ অবৈধ উপায়ে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছেন। তার অবৈধ টাকা দিয়ে চতুর আশিষ তার নিজের নামে জমি না কিনে তার আপন ছোট ভাই অসীম কুমার বাড়ুয়ার নামে প্রায় ২ কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন। একজন সরকারী কর্মচারী হয়ে আলাউদ্দিনের চেরাগ পেল কোথায়? জানতে চায় সচেতন মহল। ঘুষ খোর আশিষ হঠাৎ করে ধন কুবের মালিক বনে যাওয়ায় মানুষকে মানুষ হিসাবে গন্য করেনা।

তিনি আবেদন খানায় আরো উল্লেখ করেন সঠিকভাবে সরকারী দায়িত্ব পালন না করে ঘুষ দূর্নীতিতে ব্যস্ত থাকেন আশিষ। সরকারী অফিস কে করেছেন নিজস্ব বেড রুমের মত। নিয়মিত অফিস না করে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। এমনকি সে পুরো জেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের হুমকী দিয়ে মাসহারা আদায় করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এমন কোনো আকাম নাই আশিষ বাবু করেন না। তার কথা মতো উঠবস না করবে তার কপালে দুঃখের কালিমা লেপন পড়ে যাবে।

অভিযোগকারী মোহাম্মদ উল্লাহ আরো বলেন, তিনি যদি ঘুষ দূর্নীতি না করেন কক্সবাজার শহরে আলীশান প্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রাজার হালে পরিবার নিয়ে থাকেন কিভাবে । কতটাকা বেতন তিনি পান? তার মেয়ে পড়ে মেডিকেলে, ছেলে পড়ে সরকারী স্কুলে। তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থ্যা গ্রহনের জন্য চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন কমিশন, সচিব স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, উপ পরিচাক স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা, অধিদপ্তরকে অবগতি করা হয়েছে । এই ব্যাপারে জুনিয়র পরিসংখ্যান কাম অফিস সহকারী আশিষ কুমার বড়ুয়ার মুঠো ফোনে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কক্সবাজার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক ডাঃ পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য্যে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা তিনি দীর্ঘ ২০-২২ বৎসর ধরে এখই কর্মস্থলে আছেন। আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি। দীর্ঘদিন এখই কর্মস্থলে থাকার কারণটি উপরিমহলে অবহিত করবো।