সিবিএন

ছবিটি দুপুর ১২টার। মহেশখালী চিকনীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে নেয়া ।

ভোট দিচ্ছেন ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ। চলছে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ।

প্রতিক্রিয়ায় ওই ভোটার বলেন, আমার ভোট আমি দিছি যাকে খুশি তাকে দিছি।

একই কথা প্রায় সব ভোটারের। সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কোন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি।

তবে, পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি বেশী।

দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত মির্জ্জিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১১২৭ টি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭০৯। সুষ্ঠু ভোট নিতে আন্তরিক বলে জানালেন প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সাবেদুল হক।

ভোটাররা বলছেন, জীবনে তারা এরকম শান্তিপূর্ণ ভোট দেখেনি। ভোট অনুষ্ঠানের আগে আশংকা থাকলেও এখন নির্ভয়ে ভোট দিতে যাচ্ছে তারা। প্রার্থীরা কোন কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পাচ্ছেনা। হার্ডলাইনে রয়েছে প্রশাসন।

আলোচিত এ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ৩ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন কোস্টগার্ড, ৬ প্লাটুন পুলিশ এবং ৪ প্লাটুন র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স টহলে রয়েছে।

এ ইউনিয়নে প্রার্থী রয়েছে ৫ জন। সরকার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সেলিম চৌধুরী। অাইনী জটিলতায় নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটর সাইকেল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তারেক বিন ওসমান শরীফ।

বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন এখলাছুর রহমান।

ভোটারদের ভাষ্য, কালারমারছড়ার মানুষ পরিবর্তন চায়। সস্ত্রাস থেকে বাঁচতে চায়। সব হিসেব মিলিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে নিরাপদ মনে করছে ভোটাররা।

কারণ, আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি। ভয়ে মুখ খোলতে পারছেনা কেউ। দুই প্রার্থীই অস্ত্রের মহড়া ও শক্তির প্রতিযোগিতা শান্তিপ্রিয় কালারমারছড়াবাসী প্রত্যাখ্যান করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আওয়ামী লীগ চাচ্ছে যে ভাবেই হোক তাদের দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে। ইতোমধ্যে তারা সেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের।

স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক বিন ওসমানের একটি শক্তিশালী ভোট ব্যাংক রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় অওয়ামী লীগের একটি অংশ।

নির্বাচন অফিস জানায়, এ ইউনিয়নে মোট ভোট রয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার।

ভোট গ্রহণ অবাধ ও সুষ্টু করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।