চকরিয়া সংবাদদাতা :
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রলীগ নেতার বসতবাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। সংঘটিত ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনা চালাকালীন সময়ে বাধা প্রদান করতে গিয়ে এলাকার দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হল স্থানীয় ফজল করিমের পুত্র মহিউদ্দিন ও মৃত ইছলাম আহমদের পুত্র মোঃ আকাশ।
২১মে রবিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে বর্ণিত ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকায়। অভিযোগে জানা যায় বর্ণিত এলাকায় ইয়াবা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় কিছু কতিপয় উশৃঙ্খল যুবক বাজার এলাকায় অবস্থিত মোঃ মহশিন নামক এক ব্যক্তির মালিকানাধীন মা-বাবা মোবাইল টেলিকম সেন্টারে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় মহসিনের পক্ষের লোকজন চেয়ারম্যানের সহকারী শফিউল আলম নামের এক যুবককে মারধরের চেষ্টা করে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও তার ভাই মনছুর আলম সহ ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আবছারের নেতৃত্বে আরো ৩০-৪০ জন লোক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহসিনের লোকজনকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে কাউকে না পেয়ে নতুন পাড়া  এলাকার সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মৃত জাবের আহমদ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মাসরুর হাসান রইসের এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আমির হামজার বাড়িতেও ব্যপাক তান্ডব চালায় বলে জানায় তার পুত্র মোঃ নেজাম উদ্দিন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। ছাত্রলীগ নেতা রঈস জানায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্রটি আমার বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে ঘেরা বেড়া ও একটি ট্রাক সহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর পূর্বক ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এব্যাপারে স্থানীয় এমইউপি সোলাইমান জানান তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যান সহ সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে হামলা করতে আসছিল। আমাকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তি দু’তিনটি পরিবারে তান্ডব চালায়। বিষয়টি নিয়ে আমি আতঙ্কিত এবং যেকোন মুহুর্তে আমার উপর আক্রমন চালাতে পারে। আমি এবিষয়টি উর্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ঘটনাটি আপোষ মিমাংসা করতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনাটি শুনেছেন এবং অভিযোগ  তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।