হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

টেকনাফ পৌরসভার খায়ুকখালীপাড়া বাঁশ গুদাম থেকে ক্ষুধার্ত ও দুর্বল একটি শকুন উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পরে দমদমিয়া ন্যাচার পার্কে সেন্টারে অবমুক্ত করা হয়েছে। ২১ মে রবিবার বন বিভাগ শকুনটি উদ্ধার করে এবং দুপুরে অবমুক্ত করা হয়।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের টেকনাফ বিটের বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন পৌরসভার খায়ুকখালী পাড়ার বাঁশের গুদামে স্থানীয় লোকজন শকুনটি দেখতে পেয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা শকুনটি উদ্ধার করে দমদমিয়া ন্যাচার পার্কে সেন্টারে নিয়ে যান। শকুনটি ক্ষুধার্ত ও দুর্বল থাকায় উড়তে পারছিলনা। শকুনটিকে খাবার হিসেবে গো-মাংস দেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা শকুনটির সেবা-যতœ করার পর দুপুর ১২টার দিকে দমদমিয়া ন্যাচার পার্কে শুকনটি অবমুক্ত করা হয়েছে। শকুন অবমুক্ত করাকালে হ্নীলার বিট কর্মকর্তা আবদুল মতিন সরকার, সাংবাদিক আবদুর রহমান, হ্নীলার বিট কর্মকর্তা শহিদুল হক ও মুচনীর বিট কর্মকর্তা আবদুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন এ জাতের শকুন সচরাচর এখন দেখা যায় না। বাংলাদেশে এ জাতের শকুন বিপন্নের তালিকায় রয়েছে। তীক্ষ্ম দৃষ্টির শিকারি পাখি হিসেবে সুন্দর প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে শকুনের ভূমিকা অপরিসীম। মৃত প্রাণীর দেহ ও আবর্জনা খেয়ে বেচেঁ থাকে বর্জ্যভূক এই প্রাণী। পৃথিবীতে ২৩ প্রজাতি শকুন রয়েছে। বাংলাদেশে শুধু ছয় প্রজাতির শকুনের মধ্যে বাংলা শকুনটিই কোনো মতে টিকে আছে। খাবারের অভাবে শকুনটি লোকালয়ে এসছে বলে তাঁর ধারণা।