বিবিসি :
ভারতের কেরালা রাজ্যের এক ছাত্রী শুক্রবার রাতে এক হিন্দু ধর্মগুরুর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে।
কথিত ওই ধর্মগুরু গত বছর ছয়েক ধরে নিয়মিত এই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন চালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
গতরাতে ওই ব্যক্তি মেয়েটির বাড়িতে এসে তাকে আবারও ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে সে একটি ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।তারপরে নিজেই পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানায়।
হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে ওই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ প্রায় ৯০% কেটে গেছে, সেটা জোড়া দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
কেরালার রাজধানী থিরুভনন্তপুরমের পুলিশ কমিশনার স্পর্জন কুমার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “২৩ বছর বয়সী আইনের ছাত্রী ওই মেয়েটি এবং তার পরিবার কোল্লাম জেলার যে হিন্দু আশ্রমের ভক্ত ছিল, সেখানকারই ধর্মগুরু ছিলেন গঙ্গেশানন্দ তীর্থপদ ওরফে হরিস্বামী নামের ওই ব্যক্তি।”
”মেয়েটি আমাদের জানিয়েছে যে তার যখন ১৭ বছর বয়স, তখনই হরিস্বামী তাকে প্রথম ধর্ষণ করে,” বলেন স্পর্জন কুমার।
কিন্তু আশ্রমের স্বামীজিকেই বাবা-মা বেশি বিশ্বাস করবে এই ভয়ে মেয়েটি কিছু বলতে পারে নি বলে বলেন পুলিশ কমিশনার স্পর্জন কুমার।
”তারপর থেকে গত বছর ছয়েক ধরে সে নিয়মিতই যৌন নিপীড়ন চালাত। গতরাতে হরিস্বামী আবারও মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে নিপীড়নের চেষ্টা করলে তখনই ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় ওই ছাত্রী।”
ওই ঘটনার পরে ছাত্রীটি নিজেই পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে খবর দেয়। মেয়েটির পরিবারই ওই ধর্ষককে থিরুভনন্তপুরমের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে বারোটার সময়।
চিকিৎসকরা বলছেন, “৫৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার পুরুষাঙ্গ শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও পুরুষাঙ্গ জোড়া দেওয়া প্রায় অসম্ভব।”