ইমাম খাইর, সিবিএন
মাত্রাতিরিক্ত রোগী বেড়েছে জেলা সদর হাসপাতালে। কেবিন, সীট পেরিয়ে ফ্লোরেও রোগীদের ঠাঁসাঠাঁসি অবস্থান। আড়াইশ শয্যার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে এখন প্রায় সাড়ে ৫’শ। কমছেনা, বরং রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স। ইনডোর আউটডোর মিলে রোগীদের চরম অবস্থা। যে কারণে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সুত্র জানায়, হাসপাতালে প্রয়োজন ৭২ জন ডাক্তার। আছে মাত্র ৫৩ জন। জরুরী বিভাগে ৭ জনের স্থলে দায়িত্ব পালন করছে মাত্র ২ জন। ১৩টি ওয়ার্ডে নার্স আছে শ’খানেক। সেখান থেকেও প্রায় ৩০ জন তদবির করে অন্যত্র চলে গেছেন। পরিস্কার পরিচ্ছনার অভাবে হাসপাতালের চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গত সপ্তাহ ধরে করুণ অবস্থা। হাসপাতাল সুপার ও আরএমও আন্তরিক হলেও বাকীরা দায়িত্ব পালনে উদাসীন। স্যুয়ারেজ লাইনের নোংরা পরিবেশে হাসপাতালে থাকা কষ্টকর। জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জরুরী বিভাগে যে দুইজন ডাক্তার রয়েছেন তারা ইনডোর আউডোর রোগী দেখার পাশাাপশি ময়নাতদন্তও করছেন। ফাঁকে ক্লাস নেন মেডিকেল ছাত্রদের। সব মিলিয়ে ডাক্তার সংকটে ভোগছে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ।
সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নীচ তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত সীটের নীচে অনেক রোগী বেডবালিশ নিয়ে পড়ে আছে। প্রতি ফ্লোরে ওয়ার্ডের বাইরেও রোগীদের ঠাঁসাঠাঁসি অবস্থান। গরমে হাপাচ্ছে এসব রোগীরা। ওখানেই কোনমতে সেবা চালানো হচ্ছে। তবে, অতিরিক্ত রোগীর চাপে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, গরম বেড়ে যাওয়ায় রোগীও বাড়ছে। ডাক্তার সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনেকবার লিখা হয়েছে। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সিভিল সার্জন ডা. পু চ নু বলেন, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশী-সেকথা ঠিক। এরপরও রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় পেয়ে ওঠা সম্ভব হয়না। তবে, শীগ্রীই তা সমাধানের আশা করছেন সিভিল সার্জন।