শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে গহীন জঙ্গলে একটি ডাকাতের আস্তানায় হানা দিয়ে ২ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা। এসময় গণধোলাইতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এসময় ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আস্তানা থেকে একটি লম্বা বন্দুক উদ্ধার করেছে। ১৮ মে বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রূদ্ধশ্বাস এ অভিযানটি চলে ইউনিয়নের কালিরছড়া থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে হাদির ঝিরা নামক স্থানে। ঈদগাঁও ইউনিয়নের মেম্বার মাহমুদুল হাসান মিনার জানান, বৃহষ্পতিবার সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় এক রাখাল গহীন জঙ্গলে গরু খুঁজতে যায়। এসময় একটি পাহাড়ে ৩/৪ জনের একটি ডাকাতদল অবস্থান নিতে দেখে ভয়ে পালিয়ে আসে। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে মেম্বারের মুঠোফোনের নাম্বার নিয়ে বিষয়টি তাকে জানালে তাৎক্ষনিক ঈদগাঁও পুলিশকে খবর দেয়। তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্বে পিয়ারুদ্দিন, আবুল কাশেমসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আস্তানাগুলো ঘিরে রাখে। মেম্বার মিনার আরো জানান, ডাকাতদলের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আরো কয়েকটি জঙ্গল থেকে ৭/৮জন ডাকাত একত্রিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ৫/৬ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১০/১২ রাউন্ড পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের লোকবল কম থাকায় আস্তানাটি ঘেরাও করে রেখে স্থানীয় প্রত্যেক মসজিদের মাইকে প্রচার করে এলাকার হাজার দুয়েক মানুষ জড়ো হয়ে পুলিশের সাথে অভিযানে অংশ নিচ্ছে। এসময় উত্তেজিত জনতা এক ডাকাতকে গণপিটুনী দিলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এএসআই মহিউদ্দীন। পরে ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে আরো একটি দল ঘটনাস্থলে যোগ দেন। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন ব্যস্ত থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে স্থানীয়দের ধারণা, ঐদিন সকাল ৯টার দিকে রামুর অরন্যঘেরা পাহাড়ে সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধানে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ধাওয়া খেয়ে তারা পূর্বদিকে অবস্থান নিচ্ছিল বলে জানা গেছে। অপরিচিত ডাকাতের লাশ এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে বলে জানা গেছে।