শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার জেলা বিএনপির ‘তৃণমূল প্রতিনিধি সভা’ উপলক্ষ্যে কক্সবাজার সফরে আসা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসিরের সাথে সাক্ষাত করেছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ‘নির্বাহী সদস্য’ আলমগীর ফরিদ। তাদের ওই বৈঠকটি দু’জনের আগ্রহে হয়েছে। এসময় নিজ ও দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মীর নাসিরের সাথে আলাপ করেন তিনি। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অনুসারীদের নিয়ে ‘তৃণমূল প্রতিনিধি সভায়’ যোগ অনড় থাকলেও মীর নাসিরের সাথে সাক্ষাতের সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন আলমগীর ফরিদ।
একাধিক সূত্র মতে, আলমগীর ফরিদ অনুসারী নিয়ে প্রতিনিধি সভায় যোগ দিলে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা ছিল আয়োজকদের। তাই তারা কৌশলে আলমগীর ফরিদকে দূরে রাখেন। এটা দলের জন্য অনেক শুভ হয়েছে। দলের জন্য শুভ হলেও আলমগীর ফরিদের কি হয়েছে? এই প্রশ্নটি আলমগীর ফরিদ অনুসারীদের। বিষয়টির হিসাব-নিকাশ তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। তবে অনড় আলমগীর ফরিদ সরে আসার পিছনেও কারণ থাকতে পারে বলে অনেকে ধারণা। শেষ মুহূর্তে এসে নিজের অবস্থান থেকে সওে আসায় নানা কানাঘুষাও সৃষ্টি হয়। চাউর হয়ে গেছে যে, কোনো ‘সংকেত’ পেয়ে আলমগীর ফরিদ সরে এসেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্রের দাবি, আলমগীর ফরিদকে ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন দলের শীর্ষ সারির নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির। বৈঠকে নানা বিষয়ে বুঝিয়ে মীর নাসিরের মন ‘গলাতে’ পেরেছেন আলমগীর ফরিদ। এসময় দলের জন্য নিজের ‘ত্যাগ’র নানা কথা তোলে ধরেন। এসময় অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েনে তিনি। এতে সন্তোষ্ট হয়ে তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন মীর নাসির। ওই সময় শান্ত¡না দিয়ে মীর নাসির আলমগীর ফরিদকে আশ্বস্ত করেন। বিষয়টি খালেদা জিয়াকে অবহিত করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। তবে দলের স্বার্থে বাড়াবাড়ি না করার আহ্বান জানান মীর নাসির।
অন্যদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলমগীর ফরিদের সাথে যোগাযোগ করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজলও। শনিবার সকালের দিকে কাজল মুঠোফোনের মাধ্যমে আলমগীর ফরিদের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় ‘তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনকে’ ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আলমগীর ফরিদকে সম্মেলনে যোগ না দিতে অনুরোধ করেন লুৎফর রহমান কাজল। এই বিষয়ে পরে বসে আলাপ-আলোচনা করারও আশ্বস্ত করেন কাজল- এমনটি শোনা যাচ্ছে।