এম.এ আজিজ রাসেল :

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে জেলায় পালিত হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে বরাত। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেছেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া খায়েরে শামিল হয়েছেন সকলেই। নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমানরা কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা নফল রোজাও পালন করেছেন।

বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে সারা রাত চলে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য এবাদত-বন্দেগী ও মোনাজাত। মুসলমানদের বিশ্বাস, মহিমান্বিত এই রাতে মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের ভাগ্য অর্থাৎ তার নতুন বছরের ‘রিজিক’ নির্ধারণ করে থাকেন। রাতব্যাপী এবাদত, বন্দেগী, জিকির ছাড়াও এই পবিত্র রাতে মুসলমানগণ মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করে থাকেন। তাই এ রাতে কবরস্থান গুলোতেও মুসল্লীদের উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়।

শহরের বদর মোকাম, বায়তুশ শরফ, বাহারছড়া, কলাতলী, টেকপাড়া জামে মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, দুপুর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগীর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। আসর নামাজ শেষে সবাই ছুটে যায় জিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে। এশার নামাজের পর থেকেই মসজিদ গুলোতে দফায় দফায় ওয়াজ মাহফিল, জিকির ও মিলাদের পর বাদ ফজর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র লাইলাতুল বরাতের সমাপ্তি হয়। পবিত্র শবে বরাত সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে মসজিদ ও কবরস্থান এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়।