মোঃ আশেকউল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ:

টেকনাফ সীমান্ত পৌর শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশানটি নিত্যদিন যানজটে পরিনত হচ্ছে। যানজটের কবলে পড়ে যাত্রী সকল চরম ভোগান্তির ভূক্তভোগীরা অনেকেই মন্থব্য করতে শোনা যায়, এ দায়িত্ব কার প্রশাসনের না জনগণের । এ সমস্যা চিহ্নিত না করেই শুধুমাত্র ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেই দায়িত্ব এড়াতে চায়। যানজটের কবলে পড়ে বিশেষ করে হাসপাতালমূখী জঠিল রোগীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে থাকে। বিকাল হলে টেকনাফ পৌর শহরের ষ্টেশানটি যানজট সৃষ্টি হয়। যার জন্য এর খেশারত দিতে হচ্ছে, যাত্রী সকলকে। যে কারণে ষ্টেশানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, তার মধ্যে কয়েকটি প্রধান কারণ হচ্ছে, নাইট্যং পাড়া ২৩ একর জায়গার উপর বাস ও ট্রাক ট্রামিনাল স্থাপিত হবার পর এটি ব্যবহ্নত না করে ষ্টেশানকে দুর পাল্লার গাড়ীর জন্য ব্যবহার করা। এখানে যত্রতত্র স্থানে গড়ে উঠেছে দুরপাল্লার গাড়ীর কাউন্টার অফিস, তাছাড়া বাস, জীপ, সিএনজি, মাইক্রো, টমটম, অটোরিক্সা, মাহিন্দ্রা, টেলাগাড়ী, ব্যাক্তিমালিকানাধীন নোহা, মাইক্রো, হাপট্রাকসহ এসমস্ত যানবাহন পরিবহন ষ্টেশানকে ব্যবহার করছে। এর পাশাপাশি ষ্টেশানে ভাসমান দোকান, দোকানের মালামাল এবং ফুটপাতে দোকান বসার কারণে পথচারী ক্রেতাগণ সহজে যাতায়াত করতে পারেনা। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে যাতায়াত করতে বাধ্য হয়। সড়কের উভয় পার্শ্বে তরীতরকারী ও মাছের বাজার বসার কারণে রাস্তা সংকোচিত হয়ে পড়লে অনেক সময় একটি গাড়ী অন্য গাড়ীকে সহজেই সাইট দিতে পারেনা। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট মুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ও এ পরিস্থিতি থেকে পৌরবাসী কোন নিস্তর পাচ্ছেনা। বরংচ পৌরবাসীর ভাগ্যে মিলেছে, ভোগান্তি ও নানা যাতনা। সামনে রমজান ও ঈদ এ যানজট ভয়াবহতা আরো বাড়বে। এর থেকে পৌরবাসী ও যাত্রীসকল নিস্তার পেতে চায়। পৌরবাসী এ সমস্যা সমাধানে তড়িৎ অবসান আশা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। পৌরবাসীর মতে নাইট্যংপাড়া বাস ও ট্রাক টার্মিনাল ব্যবহার করা, দুরপাল্লার বাসের টিকেট কাউন্টার গুলো ষ্টেশান থেকে সরানো, প্রধান সড়কের পাশ্বে গ্যারেজ ওয়ার্কশপ রাইচমিল, স্বমিল, ইট ও বালি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ এবং প্রধান সড়কের উভয় পাশ্বে অবস্থান নেয়া ট্রাক, বাস, অবৈধ টমটম, অটোরিক্সা ও মাহিন্দ্রা গাড়ী অন্যত্র স্থানে সরানো। তাছ্ড়াা ষ্টেশানের জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর সড়কের ইসলামাবাদ পর্যন্ত সড়কের পাশ্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাতায়াত পথ সুগম করে দিতে পারলে যাত্রী এবং পথচারীরা চীর ভোগান্তি এবং যাতনা নামক যন্ত্রনা থেকে অবসান পাবে। এমন প্রত্যাশা করছে যে, ষ্টেশান ব্যাতীত একটি বিকল্প সংযোগ সড়ক করতে। বিকল্প সড়ক না থাকাতে ষ্টেশানটি অনেকাংশে যানজট সৃষ্টি হয়। সেই সাথে তরিতরকারী ও মাছ বাজার এবং ভাসমান স্থাপনা উচ্ছেদ করে অন্যত্র স্থানে স্থানীয়ভাবে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে পারলে পৌরবাসী তার জন্য পৌরকর্তৃপক্ষের কাছে সাধুবাদ জানাবে। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম বলেন, পৌরবাসীর কাছে আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী পৌরসভাকে একটি অত্যাধুনিক পৌরসভা রূপ নিতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। পৌরসভার জলাবদ্ধতা, নিরসন কল্পে কায়ুকখালী খালের উভয় পাশ্বের জায়গা দখল, সড়কের পাশ্বে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ পরিবেশ রক্ষা এবং শ্রীবর্ধনের উদ্দেশ্যে অবশ্যই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা প্রয়োজন। এর দায় থেকে পৌরবাসীকে মুক্ত করতে প্রশাসনকে চিটি দিয়ে অবগত করেছি।
টেকনাফে ট্রাফিক ইনচার্জ মোঃ ফারুক জানান, টেকনাফ ষ্টেশনে যানজটের একমাত্র কারণ অবৈধ টমটম, মাহিন্দ্রা, অটোরিক্সা এবং ভাসমান দোকান বসার কারণে যনজাট সৃষ্টি হয়।