ডেস্ক নিউজ:

রাজধানীর বনানীতে একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়েছে। আদালতে কাঠগড়ায় উঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই ধর্ষক। এসময় আইনজীবীরা তাদের সান্ত্বনা দিতে থাকেন।

আইনজীবীরা তাদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেন এবং তাদের কিছুই হবে না বলে জানান।

শুক্রবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে হাজির করে তাদের প্রথমে আদালতের গারদ খানায় রাখা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদা ইয়াসমিন শুক্রবার সকালে জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত ধর্ষককে সিলেট থেকে ঢাকায় আনা হয় রাতে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে তাদের দু’জনকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাবাসাদ করা হয় তাদের।

প্রসঙ্গত, বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও আরেক আসামি সাদমান সাকিফকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেটে গ্রেফতার করা হয়। সাফাত ও সাদমান সিলেটে আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন।

সাফাত (২৬) আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে এবং সাদমান (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসামিরা।