সিবিএন

আগামী ১৩ মে অনুষ্ঠিতব্য জেলা বিএনপির তৃণমূল প্রতিনিধি সভা তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সভা সফল ও স্বার্থক করতে চলছে শেষ প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠান ভেন্যু সজ্জার কাজ চলছে। একটি দিন পেরুলেই অনুষ্ঠিত হবে জেলা বিএনপির বহু কাঙ্খিত তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা। তবে, সভায় দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কোন কথাটি তুলে আনছেন, আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোন ম্যাসেজটি দেয়া হচ্ছে-তা এখন দেখার বিষয়। সব মিলিয়ে শাহজাহান চৌধুরী-এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্নার নেতৃত্বাধীন কমিটির তৃণমূল প্রতিনিধি সভাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ- এমনটি মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।

সুত্র মতে, কোন ধরণের কাউন্সিল বা নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা নয়। মূলতঃ আগামীর আন্দোলন ও নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশব্যাপী এই কর্মসুচি হাতে নিয়েছে বিএনপি।

এদিকে দীর্ঘদিন পরে হলেও বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল কমিটির টপ লেভেলের নেতারা প্রতিনিধি সভায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পেয়ে তাদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। অতীতের সকল মতভেদ ভুলে তারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছে।

দলীয় সুত্র জানায়, আগামী ১৩ মে শহরের অভিজাত হোটেল সী-প্যালেসের সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৩টায় এ সভা শুরু হবে। জেলার ৮৪টি সাংগঠনিক ইউনিয়নের প্রতি ইউনিয়ন থেকে ৩ জন, প্রতি উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির ৫ জন, প্রতি উপজেলা ও পৌরসভা অঙ্গ সংগঠন থেকে টপ সুপার ৫ জন, জেলা বিএনপির ১২০ জন, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন সমূহ থেকে ৭ জন, জেলা মহিলাদলের ৩০ জনসহ প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী সভায় অংশ গ্রহণ করবে। এছাড়া ৩০ বিশিষ্ট ব্যক্তি সভায় আমন্ত্রিত বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনার অলোকে তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মীর মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তিনি মূলতঃ সাংগঠনিক টীমের প্রধান। সভায় বিশেষ অতিথি থাকবেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবেবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনর রশীদ ও জালাল উদ্দিন মজুমদার।

তৃণমূল প্রতিনিধি সভা প্রসঙ্গে পেকুয়াউপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ জানান, তৃণমূলকে জাগিয়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যে কোন মূল্যে সভা সফল করা হবে।

তিনি মনে করেন, দীর্ঘ দিন পরে হলেও বিএনপির এই সিদ্ধান্ত একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী। দলকে চাঙা করতে এমন একটি কর্মসুচির জন্য অপেক্ষা করছিল দলীয় নেতাকর্মীরা।

প্রতিনিধি সভার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, তৃণমূলকে সক্রিয় করতে প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হচ্ছে। সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা মর্যাদা পাবেন। এতে তাদের সমস্ত মতামত, অভিযোগ ও পরামর্শ গুরুত্বের সাথে নেয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রতিনিধি সভায় ব্যক্তিকেন্দ্রীক কোন শ্লোগান চলবে না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য কারো নামে শ্লোগানে কড়া নিষেধ আছে।

শাহজাহান চৌধুরী মনে করেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা নিয়ে বিতর্ক-গ্রুপিং এর কথা শুনা গেলেও কক্সবাজারে চমৎকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। সুষ্ঠুভাবে প্রতিনিধি সভা সম্পন্ন করতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, তৃণমূল প্রতিনিধি সভা মূলতঃ নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে আয়োজন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচন প্রস্তুতি ও বেগম জিয়ার ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের নির্দেশনা এই সভা থেকে দেয়া হবে। কোন ধরণের কমিটি ঘোষণার জন্য সভাটি ডাকা হয়নি।

তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যমে মূল ম্যাসেজ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। এটি খুবই দুঃখ জনক। এজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আরো বেশী সজাগ হওয়ার আহবান জানান তিনি।