পূর্ব-পশ্চিম বিডি:

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে বর্তমান সংসদের প্রায় ১০০ দলীয় এমপিকে মনোনয়ন দেবেন না। এদের মধ্যে বির্তকিত, দলের স্থানীয়ভাবে প্রকট আভ্যন্তরীণ কোন্দলে লিপ্ত বা জনবিচ্ছন্ন প্রথমবারের মতো বিগত নির্বাচনে বিনাভোটে দল থেকে এমপি হয়েও কোনো অবস্থান করতে পারেননি, তাদের সংখ্যাই বেশি।

আওয়ামী লীগের অনেকেও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না, আগামী নির্বাচন মূলত কিভাবে, কতটা অংশগ্রহণমূলক-প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই বিএনপি ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে নাকি তার আগেই তাদের নেত্রী দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত দন্ডিত হয়ে নির্বাচন করার ক্ষমতা হারাবেন?

তবে দলের অনেকে মনে করছেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের ইস্যুকে সামনে নিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনে উতরে যাবেন। অনেকে মনে করেন, নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ এ নিয়ে যতই প্রশ্ন থাকুক, রাজনীতিতে যতই সন্দেহ, সংশয় থাকুক না কেন বিগত নির্বাচনের মতো দায় শেখ হাসিনা আর নিতে চাচ্ছেন না।

শেখ হাসিনা তার দলের সংসদীয় সভায় পরিষ্কার বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে সবার অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ। ৫ জানুয়ারির মতো দায়িত্ব তিনি নেবেন না। আওয়ামী লীগ সংগঠনের ঐক্য সুসংহত, উত্তম প্রার্থী বাছাই ও সরকারের সাফল্য জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রচারের প্রস্তুতিও শুরু করেছে। সবমিলিয়ে অনেকেই মনে করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা তার ৩৬ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামমুখর জীবনে দীর্ঘপথ মানুষের ভোটাধিকারের জন্য লড়েছেন। দেশকে তিনি উন্নয়নের মহাসড়কে তার দৃঢ় নেতৃত্বে যেভাবে নিয়েছেন, যেভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পথে হাঁটছেন, নারীর ক্ষমতায়নে যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তথ্য-প্রযুক্তির নেটওয়ার্ককে তৃণমূল জনগণকেও যেভাবে সংযুক্ত করেছেন; তেমনি তার নেতৃত্বেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যে সম্ভব সেটি তিনি আগামীতে বিশ্ববাসীকে দেখাতে চান। তাই দলের প্রার্থীদের ব্যাপারে তিনি সবচে বেশি সজাগ, সর্তক। আর এখানেই বির্তকিত, জনবিচ্ছিন্নদের বাদ দিয়ে আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনের শতাধিক আসনে নতুন প্রার্থী দিতে চাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র এই আভাস দিয়েছে।