ডেস্ক নিউজ:

রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বেণীপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বাড়ির ভেতরে পাঁচ জন আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা সবাই একই পরিবারের। এদিকে বিস্ফোরণের সময় আহত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুল মতিন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন। গোদাগাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুর আলম মুন্সী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আবদুল মতিনের বাড়ি গোদাগাড়ির মাটিকাটা ইউনিয়নেই। জঙ্গিদের ঘটানো বিস্ফোরণে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই উৎপল ও জেলা পুলিশের কনস্টেবল তাইজুলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই বাড়ি থেকে দুটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। আস্তানা থেকে নারী আত্মসমর্পণ করেন। জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভোর থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে। সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই আস্তানায় শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ রাজশাহীর পুলিশকে এই জঙ্গি আস্তানার বিষয়ে তথ্য দেয়। পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করতে গেলে ভেতর থেকে জঙ্গিরা হামলার চেষ্টা করে।

ওসি বলেন, ‘ভোর থেকেই ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ওই বাড়ির ভেতর থেকে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। জঙ্গিরা ধারালো অস্ত্র নিয়েও তেড়ে এসেছিল। বিস্ফোরণের সময় আমাদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’

জানা গেছে, গোদাগাড়ির আস্তানায় নিহতরা হলেন সাজ্জাদ, তার স্ত্রী বেলি, ছেলে আল আমিন, সোহেল ও মেয়ে কারিমা। এছাড়া দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গোদাগাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুর আলম মুন্সী বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আজম তৌহিদ জানান, পাঁচ মাস আগে সাজ্জাদের জামাতা জহুরুল ইসলামকে নাশকতার মামলায় জেএমবি সদস্য হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি আরও জানান, ওই পরিবারটি জামায়াতপন্থী। ধানক্ষেতের মাঝখানে টিনের ওই বাড়িটির আশপাশের আর কোনও ঘরবাড়ি নেই।