আব্দুল আলীম নোবেল:

কে এই গাউছিয়া ট্রেডার্স ক্লিন সিকিউরিটি সার্ভিসের মালিক দেলোয়ার। গরিব কর্মচারীর বেতনের প্রতি মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা মেরে খাচ্ছে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ক্লিনার ও বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মচারীদের বেতনের একটি বড় অংশ কেটে নিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের নামে। ভুক্তভোগি এই সবকর্মচারীরা বছরের পর বছর গাঁদার কাটুনি কাটলেও বেতন পাচ্ছে খুব বেশি কম। এই কম বেতনের চাকুরী করে জীবন যাপন করা অতি কষ্ট হয়ে ওঠছে তাদের কাছে। আর গরিবের এই টাকায় ভাগ বসিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কিছু আসাধু লোকজন। এইসব কর্মচারীরা চাকুরী হারানোর দায়ে কারো কাছে মুখ খুলছে না। সব কিছু জেনেও সহ্য করে যাচ্ছে তারা। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে হারাতে হয় চাকুরী।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল (মঙ্গলবার) গাউছিয়া ট্রেডার্স ক্লিন সিকিউরিটি সার্ভিসের ৪৫ জন কমচারীকে বেতন দেয়া হয়েছে। এই কর্মচারীরা সিকিউরিটি সার্ভিস ও ক্লিনারসহ বিবিন্ন পদে গত ১১ মাস ধরে চাকুরী করে আসছে। তারা ১১ মাস চাকুরী করলে অবশেষে বেতন পেয়েছে মাত্র ৮ মাসের। তাদের বেতন দিতে গিয়ে চরম অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে গাউছিয়া ট্রেডার্স ক্লিন সিকিউরিটি সার্ভিসের দেলোয়ার। তাদের মুল বেতন মাসে ১৪ হাজার ৫ শ টাকা। বেতন দিয়েছে প্রতিমাসে মাত্র ৯ হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগি কর্মচারী জানান, পুরো বেতনের টাকা পরিশোধ করবে বলে দেলোয়ার হোসেন চাকুরীতে নিয়োগ দেয়ার সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। তাদেরকে পুরো বেতন না দিয়ে বেতন দিয়েছে ৯ হাজার টাকা। এইভাবে সব কর্মচরীদেরকে বেতন দিয়েছে বলে জানাগেছে। গতকাল ৪৫ জন কমর্চারী বেতনের ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা পেয়েছে গাউছিয়া।

এছাড়া, গাউছিয়া ট্রেডার্স ক্লিন সিকিউরিটি সার্ভিসের আওতায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ৩০জন কর্মচারী রয়েছে। যারা ক্লিনার হিসাবে কাজ করছেন। তাদের কে বেতন দিচ্ছেন মাত্র ২ হাজার ৫শ টাকা। আর তাদের নামে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বেতন তুলছেন ১৪ হাজার ৫ শ’ টাকা। তাদের বেতনের বিশাল অংশ মেরে খাচ্ছে গাউছিয়া ট্রেডার্স ক্লিন সিকিউরিটি সার্ভিসের মালিক দেলোয়ার ও তার চক্রের লোকজন।

শুধু এই ভুক্তভোগি নয় গাউছিয়া ট্রেডার্স ক্লিন সিকিউরিটি সার্ভিসের মালিক দেলোয়ার নিয়োগ পাওয়া প্রত্যক্ষ কর্মচারীর কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। কে এই দেলোয়ার চাকুরীর নামে গরিব মানুষের জাীবন জীবিকা নিয়ে খেলছে। তার সাথে এই চক্রে কে রয়েছে তা খতিয়ে দেখার দাবী তুলছেন এলাকার সচেতন মহল।

এই বিষয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) গাউছিয়া ট্রেডার্স ক্লিন সিকিউরিটি সার্ভিসের মলিক দেলোয়ার হোসনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের তদবির করে এই টাকা গুলি আনতে হয়, তাই এই টাকা গুলি থেকে কিছু টাকা কেটে নেয়া হয়। ভ্যাট বাবতও কিছু টাকা কেটে নেয়া হয় তাদের কাছ থেকে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রেজারুল করিম জানান, উপর মহলে অনেক কায়দা-কৌশল করে আউটসোসিং এর এই টাকা গুলো আনতে হয় তাদেরকে। তবে তিনি ১৪ হাজার ৫ টাকা মুল বেতন ও প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা বেতন দেয়ার কথাটির সত্যতা স্বীকার করেন।