ডেস্ক নিউজ:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালবনানীর একটি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দিতে বাহ্যিক কোনও শক্তি কাজ করছে না।
গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় ওই ধর্ষণের ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না বলে আশ্বস্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক ঘৃণ্য অপরাধীদের গ্রেফতার করেছি। এমনকি অনেক জঙ্গিকেও আমরা গ্রেফতার করেছি। একইভাবে এই ধর্ষণের মামলার আসামিরাও গ্রেফতার হবে।’
এই মামলাকে প্রভাবিত করতে কোনও মহল কাজ করছে কিনা, সে প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের দুই সংসদ সদস্যের কারাগারে থাকার কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘কোনও বাহ্যিক শক্তি এখানে কাজ করছে না। এ ধরনের ঘটনাকে প্রভাবিত করার মতো ক্ষমতা কারও নেই। পুলিশ কারও নির্দেশে প্রভাবিত হবে না। এই দেশে ক্ষমতা ও প্রভাব দেখানোর মতো কেবল একজনই রয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
উল্লেখ্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই শিক্ষার্থীদের জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। ওইদিনই তারা ওই ছাত্রীদের বনানীর কে-ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে দ্য রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যায়। মামলার এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়— সেখানে জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মামলার সাফাত ও নাঈম।
ধর্ষণের শিকার তরুণীদের বক্তব্য, আসামিদের পরিচয় ও অবস্থানের সব তথ্যই পুলিশ জানে। কিন্তু আসামিদের পরিবার অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। মামলার আসামিদের মধ্যে একজন সাফাত, সে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিদার আহমেদের ছেলে। অন্য এক আসামি নাঈম ইমেকার্স বাংলাদেশ নামের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাদের আরেক বন্ধু ও মামলার তৃতীয় আসামি সাদমান সাকিফ রেংগুম গ্রুপের একজন পরিচালক। মামলার অন্য দুই আসামি হলো সাফাতের গাড়ির চালক বিল্লাল ও সাফাতের বডিগার্ড (অজ্ঞাত)।