মহেশখালী হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স আছে চালক নেই : স্পীডবোটে সন্তান প্রসব এক নারীর

প্রকাশ: ১০ মে, ২০১৭ ১১:০৩

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


মহেশখালী হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে কক্সবাজার আসার পথে স্পীডবোটেই সন্তান প্রসবকারী শরমিন অাকতার।

ইমাম খাইর, সিবিএন:
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না পাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দ্বীপবাসী। বিরাজমান সমস্যা সমাধানে জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছেনা। পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়ার আশ্বাসের বাণীও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দ্বীপবাসী কাঙ্খিত সরকারী স্বাস্থ্যসেবা থেকে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনটি অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিকে মহেশখালী হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে কক্সবাজার আসারপথে প্রসূতি এক নারী স্পীডবোটেই সন্তান প্রসব করেছে। ৯ মে সকাল ১০টার দিকে মহেশখালী জেটিঘাটে ফুটফুটে ছেলে সন্তানটির প্রসব হয়। সন্তান প্রসবকারী শারমিন হোয়ানক এর সোহেলের স্ত্রী এবং মিয়াজীরপাড়ার হাসেম এর মেয়ে। বর্তমানে মা-ছেলে দুইজনই সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে।
শারমিনের মা মিনুয়ারা জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার সকালে স্পীডবোটে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্তান প্রসব করে শারমিন। এদিকে মহেশখালী হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না পাওয়ায় যন্ত্রণায় ভোগতে হয়েছে শারমিন আকতারকে। শুধু শারমিন নয়, এরকম অসংখ্য প্রসুতি-রোগীকে ভোগতে হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. পুচনো জানান, জেলার উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় হাসপাতালের চালক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্থ করেছিলেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ দিয়া। কিন্তু দুঃখজনক হলো, তিনি এখনো সমাধান করেন নি। যে কারণে গর্ভবতীকে মাকে কষ্ট পেতে হচ্ছে। এ জন্য খুবই দুঃখ প্রকাশ করেন সিভিল সার্জন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিকল্প সমাধানের পথ খোঁজছেন বলেও জানান তিনি।