হারুনর রশিদ, মহেশখালী:

মহেশখালীতে তসলিমা আকতার (১৮) নামে গর্ভবতী এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামী ও ভাসুর মিলে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। ৯ মে রাতে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের জামাল পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসির সূত্রে জানা যায়, ৯ মে রাত তিনটায় স্বামী ও ভাশুর মিলে গর্ভবর্তী মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত তাসলিমা আকতার উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরা ঘোনা এলাকার আবু ছৈয়দের মেয়ে। তার সাথে হোয়ানক ইউনিয়নের জামাল পাড়ার আব্দুল খালেক এর পুত্র আলী হোসেন এর বিয়ে হয় কিছুদিন আগে।

পাষন্ড স্বামী আলী হোসেন

নিহতের আত্মীয়রা জানান, বিয়েতে ৪ভরি স্বর্ণও ৪ লাখ টাকার কাবিনে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। স্বামী আলী হোসেন স্ত্রী তসলিমাকে বিয়ের সময় দেওয়া স্বর্ণ বন্ধক ও বিক্রয় করে টাকা দেওয়ার চাপ দেয়। স্ত্রী তসলিমা স্বর্ণ দিতে অস্বীকৃতি জানার কারনে াএকাধিক বার মারধরের শিকার হয় তসলিমা। এনিয়ে গত ২৮এপ্রিল বাবার বাড়ীতে চলে যায় তছলিমা। ৮মে সন্ধ্যায় স্থানীয় সাবেক মেম্বার আব্দুল করিম এর জিম্মায় তসলিমাকে বাবার বাড়ী থেকে শ্বশুর বাড়ী নিয়ে যায়।

নিহতের ভাই গোলাম মোস্Íফা জানান, রাতে স্বামীর জন্য বাবার বাড়ী থেকে যাওয়ার পরপরই স্ত্রী তসলিমাকে মারধর করতে থাকে স্বামী ও ভাসুর আব্দু শুক্কুর প্রকাশ সোনাইয়া। মারধর করার সময় ফোন করে তসলিমার বাড়ীর লোকজনকে জানায় স্বামী এবং তছলিমাকে মারধর করে মোবাইলের মাধ্যমে কান্নার শব্দ শোনায় তছলিমার বাবা-মাকে। তখন বাবার বাড়ী থেকে জিম্মায় নেওয়া আব্দুল করিম মেম্বারকে অবহিত করলে রাতেই মেম্বার করিম তাদের বাড়ীতে যায় এবং সকালে আপোস -মিমাংসার করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

খুনের সহযোগী ভাসুর সোনা মিয়া

এদিকে রাতেই স্বামী আলী হোসেন ভাশুর , আব্দু শুক্কুর সোনামিয়া ও ননদ নয়তারা মিলে তসলিমাকে পিটিয়ে হত্যা করে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। ভোর ৪ টায় জিম্মায় নেওয়া সাবেক মেম্বার আব্দুল করিম মুঠোফোনে তসলিমার বাপের বাড়ীর লোকজনকে বিষয়টি জানান।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শ্বাশুর বাড়ীর লোকজন পূর্বে থেকে সন্ত্রাসী পরিবার; তাদেরকে খুঁজছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।