আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত ইরানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে সৌদি আরব হুমকি দেয়ার পর পরমাণু শক্তিধর তেহরানের সঙ্গে রিয়াদের উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। রিয়াদের যুদ্ধের হুমকির পর তেহরান সৌদি আরব ধ্বংস করার পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছে, সৌদি আরব যদি ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ কিছু করে বসে তাহলে পবিত্র নগরী ‘মক্কা ও মদিনা’ ছাড়া সৌদি আরবের কোনো কিছুই অবশিষ্ট রাখবে না ইরান।

সোমবার সৌদি আরবের জাতীয় দৈনিক আল-মানারের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হোসেইন দেঘান বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা তাদেরকে মূর্খের মতো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছি। কিন্তু তারা যদি গোয়ার্তুমি করে বসে মক্কা ও মদিনা ছাড়া আমরা তাদের কোনো কিছুই অবশিষ্ট রাখবো না।

‘তাদের বিমান বাহিনী থাকায় এমন কিছু করতে পারবেন বলে তারা (সৌদি আরব) মনে করেন’- ইয়েমেনে সৌদি আরবের বোমা হামলার পরিষ্কার তথ্য দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন; যেখানে ইরান সমর্থিত হুদি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট হামলা চালাচ্ছে।

গত মঙ্গলবার সৌদি উপ-যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এক হুমকির পর দেঘান এসব কথা বলেন। সৌদি যুবরাজ বলেছিলেন, রিয়াদ ও তেহরানের প্রভাব বিস্তারের যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত ইরানের ভেতরে হবে, সৌদি আরবে নয়।

৩১ বছর বয়সী এই যুবরাজের বিরল একটি সাক্ষাৎকার সৌদি আরবের একাধিক চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়। ২০১৫ সালে তার পিতা বাদশাহ সালমান সৌদি সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন।

সাম্প্রদায়িক ইস্যু সামনে এনে সৌদি এই যুবরাজ বলেন, ইসলামি বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ ও শিয়া মতবাদ ছড়িয়ে দিতে ইরান আগ্রহী। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা আছে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে সৌদি যুবরাজ বলেন, কীভাবে কারো সঙ্গে অথবা একটি শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে আমি বোঝাপড়ায় আসতে পারি; যাদের চরমপন্থী ভাবাদর্শে গড়ে ওঠা মতবাদ রয়েছে।