শাহেদ মিজান, সিবিএন:
ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছে, যারা ১০ একরের বেশি চিংড়ি জমি লিজ নিয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। ১০ একরের বেশি কারও মালিকা থাকতে পারবে না। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত ‘চিংড়ি মহাল কমিটি’র সভায় এ কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনোয়ারুল নাসের।
সভায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘চকরিয়া এলাকায় বিএনপি সরকারের আমলের সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিনের স্ত্রীর নামে এক’শ একর চিংড়ি লিজ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো কুক্ষিগত থেকে গেছে। এগুলো উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘চিংড়ি খাত প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়। কিন্তু এখন চিংড়ি জোনে ডাকাতের উপদ্রব বেড়ে গেছে। ডাকাতের নির্যাতন থেকে চিংড়ি চাষীদের রক্ষা করতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা জরুরি।’
রেজাউল করিম বলেন, সরকারের উদাসিনতার কারণে চকরিয়ার চিংড়ি জোন গুলো দিনদিন অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। এই দখল কর্মকান্ডে দলীয় লোকজনও জড়িত। নীরব চাঁদাবাজি চলে চিংড়ি জোনে। চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়েই চিংড়ি চাষ করতে হচ্ছে। এসব থেকে জনগণকে নিস্তার দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, যে সরকার আসে সেই সরকারের কিছু দলীয় লোকজন সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চিংড়ি দখল করে। এখন আর প্রতিবাদ নয়; এই সমস্যার প্রতিকার চাই। এরজন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দ্রুত চিংড়ি মহালের সমস্যা সমাধানে দ্রুত টাস্কফোর্স কমিটি গঠন এবং এই টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধান করে ৩০ দিনের মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দিতে হবে।’ সভায় তিনি চকরিয়ার চিংড়ি জোনের নিরাপত্তার জন্য নতুন একটি পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।