আবদুল্লাহ আল আজিজ ॥
উখিয়া উপজেলা ব্যাপী বেড়ে গেছে ইভটিজিং। প্রতিনিয়ত রোমিও বখাটেদের উৎপাত বেড়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ও স্কুল-কলেজের সামনে।
বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছে এসব রোমিও বখাটেরা। যার কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার উখিয়া সদর, কুতুপালং রাস্তার মাথা,বালুখালী, থাইংখালী বাজারে, পালংখালী ফারির বিল রাস্তার মাথা,রাজা পালং,হীজলিয়া, কোটবাজার,মরিচ্যা,সোনার পাড়া সড়কের আশপাশের এলাকায় রাস্তার পাশে দলবেঁধে উৎপেতে থাকে রোমিও বখাটেরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এসব রোমিও বখাটেরা ছেঁড়া পেন্ট, হাতে বেস্টলেট, চোখে কালো সানগ্লাস পড়ে থাকে। অনেকে লাইসেন্স বিহীন মটর সাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করে। উপজেলার ষ্টেশন ও বেশ কয়েকটি প্রাইভেট সেন্টারকে ঘিরে অবস্থান নেয় বখাটেরা।
এছাড়া বখাটেদের উৎপাত রয়েছে উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া মডেল সরকারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়,বালুখালী উচ্চ বিদ্যালয়, থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়,পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাপালং এমইউ ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা,রাজাপালং আবুল কাশেম নুরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, মরিচ্যা পালং মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া উপজেলার একমাত্র মহিলা কলেজ বঙ্গমাতা ফজিলতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ ও উখিয়া কলেজ এলাকায়ও।
সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বখাটেরা এসব স্থানে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে প্রতিনিয়ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গমাতা ফজিলতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের এক ছাত্রী বলেন, ‘কলেজের সামনে প্রতিদিন কিছু ছেলে দাঁড়িয়ে থাকে এবং মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। আমরা বাসায়ও বলতে পারি না এসব বখাটের বিরুদ্ধে। যদি আমাদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য ২৬শে এপ্রিল কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের জনৈক ছাত্রীকে বখাটেরা তুলে নিয়ে গেলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় পরে উক্ত ছাত্রীকে উদ্ধার করে অভিভাবকের হায়ে তুলে দেয়া হয়,তবে কেন বখাটেরা পার পেয়ে গেছে সেটা জানার বিষয়!
উখিয়া মডেল সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ ম শ্রেণীর এক ছাত্রী বলেন, ‘আমরা সকাল ৮টার সময় বাসা থেকে বের হই। এতো সকালে পর্যন্ত কিছু ছেলে ষ্টেশনের সামনে বসে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে।’
থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অভিভাবক মাষ্টার ছব্বির আহমদ বলেন, উপজেলায় যে হারে বখাটে বৃদ্ধি পাচ্ছে মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। স্কুলের সামনে প্রতিনিয়ত বখাটেদের আড্ডা। কখন কি করে বসে এসব বখাটে ছেলেরা। যার কারণে নিজেকেই বের হতে হয় মেয়েকে স্কুলে আনা-নেয়ার জন্য।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।