চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৫ নম্বর সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনের ছোট ভাই সাইফুদ্দীন বাপ্পীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন স্বজনরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় সাইফুদ্দীন বাপ্পীকে আটকের পর তার ছোট ভাই সালাউদ্দিন রুমি ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বাপ্পীকে ছিনিয়ে নেয়। এই হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই মোহাম্মদ আইয়ুব উদ্দিন, এইচ এম এরশাদ উল্লাহ ও চন্দগাঁও থানার এসআই মো. মফিজ উদ্দিন।
অস্ত্র মামলার আসামি সাইফুদ্দিন বোয়ালখালী থানার সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত হাজী আবুল বশরের ছেলে।

পুলিশের উপর হামলাকারী চেয়ারম্যানের ভাই

পুলিশ জানায়, সাইফুদ্দিনের নামে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ১টি অস্ত্র মামলাসহ বোয়ালখালী থানায় আরও ৩টি অস্ত্র মামলা রয়েছে।অভিযোগ রয়েছে, সে অস্ত্র বিক্রির পাশাপাশি ডাকাত-ছিনতাইকারীসহ অপরাধীদের অস্ত্র ভাড়া দেয়।
বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, সাইফুদ্দিন অবৈধ অস্ত্রের বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গ্রামের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নগরীতে ফেরার পথে তার স্বজনরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা আসামিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়াসহ পুলিশের কর্তব্যে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বোয়ালখালী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, অস্ত্রের যোগানদাতা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আমিন জুট মিল এলাকা থেকে সাইফুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, তার হেফাজতে তার স্থায়ী ঠিকানার বাড়িতে আরও অবৈধ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) এসএম মোবাশ্বের হোসেনের নেতৃত্বে বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও চান্দগাঁও থানার যৌথ সমন্বয়ে পুলিশের বিশেষ টিম গঠন করে তাদেরকে আসামিসহ অস্ত্র উদ্ধারে পাঠানো হয়।
অভিযানে পুলিশের বিশেষ টিম সাইফুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর সরোয়াতলী এলাকায় থেকে ২টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি শাটারগান ১টি এয়ারগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৪টি বিভিন্ন সাইজের দেশীয় তৈরি দা (ধামা), ১৬টি বিভিন্ন সাইজের ছোট-বড় ছোরা ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
অভিযান শেষে রাত ১১টার দিকে নগরীতে ফেরার পথে সারোয়াতলী এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ির দক্ষিণ পাশের পুকুর ঘাট সংলগ্ন স্থানে পৌঁছলে আসামির ছোট ভাই সালাউদ্দিন রুমির নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন লোক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা আসামিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।