সংবাদদাতা
ইউপি সদস্যের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ও উপজেলা উদ্যোক্তা ফেরামের সভাপতি জিয়াউল হক বাপ্পি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বালুখালী কাষ্টমস এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। তিনি বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত জিয়াউল হক বাপ্পি পালংখালীর বালুখালী এলাকার মাস্টার ফজলুল হকের ছেলে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে কথা হয় আহত জিয়াউল হক বাপ্পির সঙ্গে। এ সময় তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, আমার নিকট প্রায় সময় অন্যায় অবদার করতেন ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল আবছার। তার অন্যায় আবদারে সায় না দেয়ায় আমার উপর প্রায় সময় ক্ষিপ্ত হতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার আগমণ উপলক্ষে এক সভাকে ইস্যু করে আমার হামলে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় তার ভাই মুজিবুল হকসহ আরো কয়েকজন জড়িত।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল আবছারের কাছে জানতে চাইলে হামলার কথা সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কিছু লোক তার উপর হামলা করেছে।
একজন ইউপি সদস্যের হাতে ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার উপর হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী আপাততঃ মুখ খোলতে রাজি হননি। তবে, সাধ্য মতো তিনি মীমাংসার চেষ্টা করছেন বলে জানান।
এ দিকে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ও উপজেলা উদ্যোক্তা ফেরামের সভাপতি জিয়াউল হক বাপ্পির উপর হামলার ঘটনার খবরে হাসপাতালে ভীড় করে সংগঠনটির নেতারা। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী জানান উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাইছার উদ্দিন।

আহতের বড় ভাই সাংবাদিক আমিনুল হক আমীন জানান, জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে সে এলাকায় নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। তার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না এলাকার নিরাপরাধ মানুষ। সে অবৈধভাবে রোহিঙ্গা আশ্রয়-পশ্রয়দাতা হিসেবেও এলাকায় ব্যাপক সমালোচিত। আমার ছোট ভাই নিরাপরাধ তার উপর হামলা নিন্দনীয়। আবছারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, আমি ঘটনার বিষয়ে অবগত রয়েছি। অভিযোগ পেলে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।