প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মহেশখালী উপজেলা তথা বড় মহেশখালী কৃতি সন্তান, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল হক সৌরভ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একই সাথে তাকে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলায় সাংগঠনিক টিমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসেন সাক্ষরিত এক পত্রে তাকে এই দায়িত্বে দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, বড় মহেশখালীর ফকিরা ঘোনা এলাকার সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ব্যাংকার একরামুল হক চৌধুরী ও বর্তমান উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আকতাররে সন্তান মোহাম্মদ মোজাহিদুল হক সৌরভ দীর্ঘ দিন থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছিল। তিনি জেলার অন্যতম মহেশখালীর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক সরকারের করা মামলার অন্যতম আসামি ও সাবেক মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রয়াত এড. ফজলুল করিম ও বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলহাজ্ব দলিলুর রহমানের নাতি। সৌরভ ছাত্রজীবনের শুরুর দিক থেকে জাতির পিতা তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সালাউদ্দিন-হেলাল কমিটির সদস্য ও আলী-তাহের কমিটির উপ-আইন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ২০১৫ সালে নিজে বাদী হয়ে কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার পর গণমাধ্যম ও রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচিত হন সৌরভ। ৭১’র বাংলাদেশ সৃষ্টি ও স্বাধীন হওয়ার প্রক্রিয়া এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর কোর্টে এই মামলাটি হয়েছিল। একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবেও তার সুনাম ছিল। শিক্ষা জীবনে একাধিক বৃত্তিলাভসহ ভাল গ্রেডে ফলাফল অর্জন করে সৌরভ। তাছাড়া তিনি শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে সন্তোষজনক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় তার সাফল্যের একাধিক স্বারক রয়েছে। তাছাড়া সৌরভ পৃথক ৩ টি সাময়িকী সম্পাদনার সাথেও যুক্ত ছিলেন বলে সূত্রে প্রকাশ। জানাগেছে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে সফলতার সাথে ‘ব্যাচেলর অব ল’ শেষ করে বর্তমানে তিনি ‘নটিংহ্যাম ট্রেন্ড ইউনিভারসিটি থেকে ডিসটেন্স লার্নিং এ ‘ইন্টারন্যাশনাল কমার্শিয়াল ল’ বিষয়ে এল.এল.এম করছেন। রাজনৈতিক সংগঠনে চমৎকার উন্নতি সাধনের উদ্দেশ্যে সংগঠনকে আরও প্রগতিশীল, দক্ষ, বাস্তবমুখী করে শক্তিশালী দায়িত্ববোধ, দক্ষতা এবং শেখার ইচ্ছাকে আন্তরিক ভাবে গ্রহণ করে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার বিষয়ে তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ এর নাম। সংগঠনের তার মূল্যায়নের পেছনে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বটির দূরদর্শীর প্রজ্ঞার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সাবেক ও বর্তমান সিনিয়র সকল নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাজনীতিতে তিনি অনেক অগ্রজের সহায়তা পেয়েছেন জানিয়ে সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তার দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সৌরভের অন্তর্ভুক্তিকে উজ্জীবিত জেলার সর্বস্তরের ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। তারা বিষয়টিকে কক্সবাজারের ছাত্র সমাজের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ চমক হিসেবেই দেখছেন।