আমি সমাজের একজন প্রতিষ্ঠিত সমাজসেবক ও পরিচিত রাজনীতিবিদ। সামাজিক সুনাম-সুখ্যাতি আমার রয়েছে। পারিবারিকভাবেও আমি সুপ্রতিষ্ঠিত। আমার পরিবারের ৩ জন প্রবাসী। পারিবারিভাবে আমরা স্বচ্ছল। আমি ইয়াবা ব্যবসা দূরের কথা, জীবনে ইয়াবা চোখেও দেখিনি। শুধু আমি নয়, পরিবারের কারো সঙ্গে ইয়াবা তথা কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা নেই। এরপরও আমাকে ইয়াবা মামলার জড়ানো সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ও পরিকল্পিত। আমার দীর্ঘদিনের শত্রুরাই আমাকে ইয়াবার মামলায় জড়িয়েছে।
টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নে মারিষবনিয়া এলাকার মোহাম্মদ ছিদ্দিক আহমদ বুধবার (৩ মে) বিকালে কক্সবাজার শহরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি ওই এলাকার নুর আহমদের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিদ্দিক আহমদ বলেন, গত ৯ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় একটি সিএনজি থেকে ১২০০ ইয়াবাসহ ৩ জনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় (কক্সবাজার সদর মডেল থানা মামলা নং- ৩৮/৩৮২) আমাকে পলাতক আসামী হিসেবে জড়ানো হয়। অথচ ইয়াবাসহ আটক লোকদের জীবনেও দেখিনি। ঘটনার সম্পর্কেও জানিনা।
তিনি অভিযোগ করেন, এলাকার প্রতিপক্ষরা আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলায় আসামী করিয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ছিদ্দিক আহমদ।
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ছিদ্দিক আহমদ বলেন, আমি ইয়াবা ব্যবসা তো দূরের কথা, সাধারণ কোন অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার কেউ প্রমাণ দিতে পারলে এলাকা ছেড়ে চলে যাব। আমি ঘটনাটির সুষ্টু তদন্ত করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান করছি।