অনলাইন ডেস্ক:

শুনলে গল্পই মনে হবে। প্রেম, সাসপেন্স, অ্যাকশন, ব্যথা। কোনও কিছুরই কমতি নেই। কিন্তু, বাস্তবের এই গল্পই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র কাছে।

এক সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গির উপর তদন্তের দায়িত্ব পান এফবিআই এজেন্ট ড্যানিয়েলা গ্রিনে। ৩৮ বছরের নারী গোয়েন্দা নজর রাখতে শুরু করেন জার্মানির বাসিন্দা ডেনিস কুপার্টের উপর। কীভাবে ডেনিসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায় সেই পথ খুঁজতে থাকেন ড্যানিয়েলা। অবশেষে উপায় বের হয়। এমনিতেই পেশায় ডিজে ডেনিস নারীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিল। সেটাকেই কাজে লাগায় ড্যানিয়েলা। ভক্ত সেজে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেনিসের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। জার্মান ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারায় অনায়াসেই ডেনিসের বিশ্বাস অর্জন করেন ওই গোয়েন্দা। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে দু’জনের।

মার্কিন গোয়েন্দা জানতে পারেন, ২০১০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ডেনিস। ২০১৩ সালে তিনি সিরিয়া চলে যান। সেখানে আবু তালহা আল আলমানি নাম নিয়ে আইএস’র হয়ে প্রচার শুরু করেন ডেনিস। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নামেও কুৎসা রটানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু, এই ডেনিসের প্রেমেই হাবুডুবু খেতে শুরু করেন এফবিআই এজেন্ট ড্যানিয়েলা।

২০১৪ সালে সংস্থাকে কিছু না জানিয়ে সিরিয়া চলে যান ওই নারী গোয়েন্দা। বিয়ে করেন সন্ত্রাসবাদী ডেনিসকে। তাকে জানিয়েও দেন যে এফবিআই তাকে খুঁজছে।

সময় বদলাতে দেরি হয়নি। আইএস সদস্যের অত্যাচারের শিকার হতে থাকেন ড্যানিয়েলা। ক্রমশ তা বাড়তে থাকলে ওয়াশিংটন পালিয়ে আসেন তিনি। সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে পেশ করা হলে ক্ষমা ভিক্ষা চান প্রাক্তন এফবিআই এজেন্ট।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। কিন্ত, ড্যানিয়েলার যুক্তি শোনার পর তার মাত্র ২ বছরের কারাবাসের সাজা শোনায় আদালত। সম্প্রতি সিএনএন এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেই নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ড্যানিয়েলা।