জাহাঙ্গীর আলম, ইনানী:

উখিয়ার উপকূলীয় জনপদ জালিয়াপালং ইউনিয়নের মোঃ শফির বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে স্থানীয় প্রশাসন পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনের নিচে পড়ালেখা করতে হচ্ছে। ১৯৯৩ সালে সৌদি ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এ ভবনটি যেকোন সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগে ধ্বসে পড়ে প্রাণহানির আশংকা করছেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ।

সরেজমিন মোঃ শফির বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির সুযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সামগ্রীক লবণাক্ত বালি ব্যবহার করে যেনতেন ভাবে নির্মাণ কাজ শেষ করায় ভবনের এ করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ইয়াছমিন আকতার জানান, ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ার ভয়ে পড়ালেখায় মন বসে না।

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান ইলমা জানায়, ভবনটি ধ্বসে পড়ার আশংকার ভয় নিয়ে পড়ালেখা করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আখতার হোসাইন জানান, ১২ মে ২০১৩ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন বিদ্যালয়টিকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করে অত্র বিদ্যালয়ে পড়ালেখা না করার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি বলেন বিদ্যালয়ে ৩ শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও দায়িত্বরত আছে ৩ জন শিক্ষক। যা নিয়ে চাহিদা মতো পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম জানান, বিদ্যালয় ভবনটি একেতো জরাজীর্ণ উপরোন্তু দরজা জানালা না থাকায় সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় প্রতিয়মান বিধায় বিদ্যালয়ের মূল্যবান উপকরণাধি চুরি হয়ে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার বিকল্প ব্যবস্থাসহ জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে পুণ: স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিউল আলম জানান, উপকূলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলেও পড়ালেখার মান উন্নয়ন হয়নি। এখানে শিক্ষক স্বল্পতা, আসবাবপত্রের অভাব, সর্বোপুরি জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবী করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত বড়–য়া জানান, উপকূলের দুটি স্কুল পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে এবং নতুন ভাবে স্কুল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।