বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরের পেশকারপাড়াস্থ বাঁকখালী নদীতে শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে। এসব বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে খাস জমি। নির্মিত হচ্ছে বসদঘর ও স্থাপনা। এতেকরে আশপাশের গ্রামরক্ষা বাঁধ হুমকিতে পড়েছে। ভেঙে পড়ছে বেড়িবাঁধ।
জরেজমিন দেখা গেছে, পেশকারপাড়ার উত্তর-পূর্ব অংশের বাঁকখালী নদী থেকে দৈনিক ১০/১২ শ্রমিক দিয়ে অবাধে বালু তুলা হচ্ছে। এসব বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী খালি জমি। ইতোমধ্যে প্লট আকারে অন্তত ১০টি ঘর তৈরী করা হয়েছে। আরো ২০ থেকে ৩০টির মতো ঘর তৈরীর অপেক্ষায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাকার ১০/১২ জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করে চলেছে। সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছে ইব্রাহিম কালু ও ওবাইদুল হাকিম নামে দুই ব্যক্তি। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা প্রশাসনকে তোয়াক্কা করছেনা। দিনরাত চালিয়ে যাচ্ছে বালু উত্তোলন। স্থানীয় একটি সুত্রের দাবী, সরকারী ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত প্রায় বাঁকখালী তীরবর্তী প্রায় ২০ একর জমি অবৈধভাবে দখলে নিতে চিহ্নিত চক্রটি ওঠেপড়ে লেগেছে। তারা ইতিমধ্যে ৫০টির মতো প্লট তৈরী করেছে। সেখানে ঘেরাবেড়া দিয়েছে। এখন প্লটগুলোতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পঙ্কজ বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি শীঘ্রই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম জানান, পরিবেশ লঙ্গন করে কোন কিছু করার আধিকার কারোর নেই। যারা একাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।