হারুনর রশিদ, মহেশখালী:
ভয়াল ২৯শে এপ্রিল ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের শরইতলা সাগরপাড়ে ২৯ শে এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার সময় ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে শোক র‌্যালি ও মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শোক র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠানটি ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাঈদুল ইসলাম,ইউনিয়ন পরিষদেও সদস্যগণ, স্থানীয় আওয়ামীলীগ,যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যদান কালে ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার ধলঘাট,মাতারবাড়ি ও কুতুবজোম ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে যায় এবং হাজার হাজার মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এসময় বসতবাড়ি ভেঙ্গে গিয়ে গৃহহারা হয়ে পড়ে কুতুবজোম,মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। পরে ১৯৯৭, ৯৮, সালে আরো দু’টি বড় বড় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে উপকূলে। এরপর সিডর, বিজলী,আইলা ও রোয়ানু, নার্গিজ আঘাত হানে মহেশখালী উপকূলে। এতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায়। এরপর অনেকেই পুণরায় বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করলে ও যাদের সম্বল নেই,তারা বেড়িবাঁধের বাইরে ঢালু ও চর এলাকায় বাঁেশর তৈরি ছোট্ট ছোট্ট ঝুপরী ঘরে মৃত্যুর ঝুঁিক নিয়ে বসবাস করছে।

প্রতি বছর ঘোরে ফিরে ২৯শে এপ্রিল তারিখ আসলে ভিবিষিকাময় কাল রাত্রির কথা মনে পড়ে এবং দীর্ঘ ২৭টি বছর বুকে লালন করছে স্বজন হারা মানুষ।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, ধলঘাটা ইউনিয়ন রক্ষার টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করে উপকুলবাসিকে বাঁচাতে হবে। টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ না হলে জোয়ার ভাটার কবলে পড়ে গৃহহারাহয়ে পড়বে হাজার হাজার মানুষ। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ধলঘাটা রক্ষার টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ এর দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ধলঘাটাবাসি।