শফিক আজাদ,উখিয়া:
এক অসহায় হতদরিদ্র নারীর নাম নুর নাহার বেগম (৪৫)। স্বামীঃ মৃত-রফিক আহমদ। ৪ ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিধবা অতি কষ্টের মধ্যদিয়ে সংসার জীবন চালিয়ে আসলেও বাঁধ সেদেছে আশ্রয়স্থলের এক খন্ড বসত ভিটা নিয়ে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অবলানারীর জায়গাটুকু কেঁড়ে নিতে বার বার জবরদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এর থেকে পরিত্রাণ ও আইনগত সহযোগিতা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত আবেদনও করেছেন তিনি।

জানা যায়, উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ বাজার গ্রামের নুর নাহার বেগমের স্বামী রফিক আহমদ মারা যান প্রায় ৫ বছর পূর্বে। মৃত্যুর আগেও তার স্বামীর সাথে বসত ভিটা নিয়ে পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী লোকদের সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। স্বামী মারা যাওয়ার পর বিধবা নারী নুর নাহারকে তার বসত ভিটা থেকে কয়েকবার উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালিয়েও ব্যর্থ হয় ভূমিদস্যুরা। তবে এতে উপজেলা প্রশাসক ও উখিয়া থানার পুলিশ অসহায় এ নারীর পক্ষে আইনী সহায়তা দেওয়ায় অন্ত:ত ভূমিগ্রাসী চক্র থেকে রক্ষা পায় এ পরিবারটি।

বিধবা নারী নুর নাহার বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমাদের আর কোন পৈত্রিক জায়গা নাই। একমাত্র বসতভিটাটি হচ্ছে আশ্রয়স্থল। আমার নামে উখিয়া ভূমি অফিসে বি.এস সৃজিত খতিয়ান লিপিবদ্ধ হয়। যার নং- ২০২০। রুমখাঁ বাজাররের পাশে হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কু-দৃষ্টি পড়ে উক্ত জায়গা।

তিনি আরও বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর অনাহারে অর্ধহারে ৪ ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করলেও ভূমিগ্রাসীদের অব্যাহত হুমকির মূখে বসবাস করতে হচ্ছে। বাড়ী সংস্কার ও ঘেরা বেড়া দিতে চাইলে লাঠিয়াল বাহিনীর বাঁধা দিচ্ছে। ৬/৭ বছর ধরে উপজেলা প্রশাসন ও উখিয়া থানায় ভূমিগ্রাসীর কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে লিখিত অভিযোগ দায়ের সহ জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে যেতে গিয়ে হয়রানীর স্বীকার হয়েছি।

তাই তিনি প্রশাসনের কাছে ফরিয়াত করে বলেন, একমাত্র সহায় সম্বল বসত ভিটাটিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে এতিম ছেলে-মেয়েদের বসবাস করার সুযোগ যেন করে দেওয়া হয়।