নুরুল কবির,বান্দরবান :

বান্দরবান শহরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার ষ্ট্রিট লাইট ও ডাষ্টবিন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে জনদুর্ভোগের অবসান ঘটেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে স্থাপিত সোলার ষ্ট্রিট লাইট প্রকল্প আলোকিত করেছে বান্দরবান পৌর শহরের বিভিন্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা। বিদ্যুত সংযোগছাড়াই স্থাপিত সোলার ষ্টিট অটোপদ্ধিতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে আলো ছড়ায়। কোন বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই সুর্য্যর্রে আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে তা দিয়ে আলোকিত করে তুলে এই সোলার ষ্ট্রিট। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বান্দরবান পৌর এলাকার ৭০ স্থানে ৭০টি ষ্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছে। তাছাড়াও পৌর শহরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ১০০টি আধুনিক ডাস্টবিন তৈরি করে দেয়া হয়েছে। বান্দরবান ও লামা পৌরসভা এলাকা ১৫০টি এ ধরনের ডাস্টবিন বসানো হয়েছে উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবদুল আজিজ জানান, ষ্ট্রিট লাইট প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। ডাস্টবিন বসানো খাতে ব্যায় হয়েছে ২৩ লাখ টাকা। ২৩ লাখ টাকা। কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ৫বছর মেয়াদকাল পর্যন্ত সোলার ষ্ট্রিট লাইট অক্ষত থাকবে এবং সার্ভিস দেবে। পৌর শহরের হাফেজ ঘোনা এলকার নাগরিক রোকসানা এবং এম আলী বলেন, পৌর বিদ্যুত খুঁটিতে স্থাপিত লাইটগুলো বেশির ভাগ সময় নষ্ট থাকে, ফলে এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। সোলার ষ্ট্রিট স্থাপিত হওয়ায় পুরো এলাকাই এখন আলোকিত থাকছে। রক্ষনাবেক্ষণ খরচও তুলনামূলক কম। পৌর নাগরিকরা বলছেন, শহরের মোড়ে মোড়ে সোলার ষ্ট্রিট লাইট স্থাপিত হওয়ায় শহরবাসী বহু অপরাধ কর্ম থেকে রেহায় পাবেন এবং নিরাপদেও থাকবেন। বিদ্যূতের লোডশেডিং হলেও সমস্যা হবে না।

লোডশেডিং এর সময়ে সোলার লাইটগুলো আলোকিত করে তুলছে অন্ধাকারাচ্ছন্ন এলাকা।পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোডের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আজিজ জানান, পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির নির্দেশে সাধারন মানুষের সুবিধায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় সোলার ষ্ট্রিট লাইট স্থাপনের পাশাপাশি ডাস্টবিনগুলো বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতেও এই প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। মূলত বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় সাধারন মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন সে জন্যই এই লাইটগুলো লাগানো হয়েছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জানান, পৌরসভার নিজস্ব বাতিগুলোর পাশাপাশি জনগণের বাড়তি সুবিধার জন্য সোলার ষ্ট্রিট লাইটগুলো উন্নয়ন বোর্ড থেকে বসানো হয়েছে। বিশেষ করে রাতে যখন বিদ্যুৎ থাকে না সে সময়ে বাতিগুলো উপকারে আসছে।