ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনচেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর উত্তর নাপিতখালী এলাকার মোকতার আহমদের ছেলে হারুনুর রশীদ এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ী মাইজপাড়ার এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়। আটক হারুনুর রশীদ ভূমি অধিগ্রহণ অফিসের পিয়ন এবং কানুনগো দিদারের একান্ত সহকারী বলে জানা গেছে। আর হেলাল উদ্দিন ক্ষতিপূরণের আবেদনকারী। দীর্ঘ সময় দেনদরবার শেষে রাত ৯টার দিকে আটক দুইজনকে ৩০০ টাকার মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কানুনগো দিদারকে সতর্ক করা হয়েছে।
কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আবু আসলাম বলেন, ক্ষতিপূরণের আবেদনের ফাইল যাচাই বাছাইকালে আমার স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হয়। পরে অধিকতর যাচাই করলে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিক ফাইল তদবিরকারী হেলাল উদ্দিন ও হারুনুর রশীদকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তিনি বলেন, আটককৃতদের থানা পুলিশে সোপর্দ করার প্রস্তুুতিকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহর জিম্মায় ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনচেষ্টার নেপথ্যে অনুসন্ধান করতে গেলে অনেকে অনেক রকম তথ্য দেয়।
আদালতপাড়ার এক ব্যবসায়ী জানান, স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় কানুনগো দিদার ও পিয়ন হারুনসহ একটি চক্র জড়িত। ২০ শতাংশ কমিশনের শর্তে তারা কাজটি করেছে। নেপথ্যে এক বড় কর্মকর্তার হাত রয়েছে।
সুত্র জানায়, ক্ষতিপূরণের ওই ফাইলটি সংশ্লিষ্টদের দস্তখত ও সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চেক ছাড়ার অপেক্ষায় ছিল। চূড়ান্তভাবে ফাইলটি উপস্থাপনের জন্য অধিগ্রহণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আবু আসলামের বিচক্ষণতায় সুক্ষœ এই স্বাক্ষর জালিয়াতি ধরা পড়ে। ঘটনার নেপথ্যে জড়িতদের খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান স্থানীয়রা।