নুরুল আমিন হেলালী:

ঈদগাঁও’র প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জলাধার হাঁসের দীঘি ভরাটের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ডাঃ সাইফুদ্দীন ফরাজীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬৪ধারা লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে ।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকপত্রে (স্মারক নং ২২-০২-২২০০-২১৩-৬০-০০১-১৬-৪৭৫) বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রাচীন জলাশয় ভরাট বা ভুমির শ্রেণী পরিবর্তনের দ্বারা পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট করছেন যা সম্পূর্ণভাবে বে-আইনী । এভাবে জলাশয় ভরাটের মাধ্যমে শ্রেণী পরিবর্তনের দ্বারা মারাত্মক পরিবেশ বিপর্য্যয়ের আশংকা প্রকাশ করে ওই স্মারকপত্রে বলা হয়েছে, এরুপ পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম পরিচালনা করে অভিযুক্ত ডাঃ সাইফুদ্দীন ফরাজী বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬৪ ধারা লংঘন করেছে যার জন্য ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির অনধিক ২(দুই) বছর কারাদ- বা অনধিক ২(দুই)লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দ- হতে পারে ।

হাঁসের দীঘি ভরাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ ও স্থাপিত সকল স্থাপনা অপসারন করে জলাশয়টি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে আগামী ৫ মে ২০১৭ তারিখের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে অবহিত করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লংঘনের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করাসহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে ওই স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ।

উল্লেখ্য , গত ১৭ এপ্রিল দৈনিক বাঁকখালী’তে প্রকাশিত ‘বিলুপ্তির পথে হাঁসের দীঘি’ শীষর্ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের রেশ ধরে পরবর্তীতে স্থানীয় ,আঞ্চলিক ,জাতীয় সংবাদপত্রে ও অনলাইন গণমাধ্যমে হাঁসের দীঘি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পুরো কক্সবাজার জেলাজুডে আলোড়ন সৃষ্টি হয় । পরবর্তীরে হাঁসের দীঘি রক্ষার দাবীতে আন্দোলনে নামে ঈদগাহ পৌরসভা বাস্তবায়ন আন্দোলন’সহ একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। তাদের দাবীর মুখে গত ১৯ এপ্রিল পরিদর্শক মুমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি দল সরেজমিনে হাঁসের দীঘি পরিদর্শন করে ভরাট ও স্থাপনা নিমার্ণে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করে । সেই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২৪ এপ্রিল অভিযুক্ত ডাঃ সাইফুদ্দীন ফরাজী বরাবার ওই নির্দেশনা জারি করে।